ফুলবাড়ীতে ৯ লাখ টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে ৫ বছর ধরে হয়রানি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০৭
ফুলবাড়ীতে পৌর কাউন্সিলর শ্রী হারান চন্দ্র দত্ত ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ি ইউপির খাজাপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র প্রভাষক মো. আব্দুর রউফ কে ৮৩.৫ শতক জমি ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে ৫ বছর ধরে হয়রানি করছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউপির খাজাপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন এর পুত্র আব্দুর রউফ দিনাজপুর পুলিশ সুপার বরাবর ন্যায় বিচার পেতে গত ০৯/১১/২০২০ তারিখে দায়েরকৃত অভিযোগসূত্রে জানা যায় যে, ফুলবাড়ী পৌরসভা এলাকার সুজাপুর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থায়ী বাসিন্দা শ্রী সুশান্ত চন্দ্র দত্ত এর পুত্র শ্রী হারান চন্দ্র দত্ত গত ২০১৫ সালে আব্দুর রউফ এর ভাগিনা মো. মিজানুর রহমান কে সঙ্গে নিয়ে তার কর্মস্থল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজে এসে প্রভাষক আব্দুর রউফ এর সাথে পরিচয় করে দেন। সেই সময় ফুলবাড়ী পৌরসভার নির্বাচন চলছিল। সেই সময় শিবনগর ইউপির গোপালপুর মৌজার সাড়ে ৮৩ শতক সম্পত্তি বিক্রয় করার প্রস্তাব দেন পৌর কাউন্সিলর শ্রী হারান দত্ত, জমির কাগজ পত্র দেন ক্রেতা আব্দুর রউফ কে। দামদরও ঠিক হয়। প্রতিশতক জমি ১৫ হাজার টাকা শতক হিসেবে দু’পক্ষের মধ্যে দামদর ঠিক হলে প্রভাষক আব্দুর রউফ একবারে টাকা দিতে না পারায় পৌর কাউন্সিলর বলেন যা আছে তাই দেন।
নির্বাচন করার জন্য আপাতত প্রভাষক আব্দুর রউফ এর কাছ থেকে গত ১৬/১২/২০১৫ তারিখে ২ লক্ষ টাকা ২৫/১২/২০১৫ তারিখে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ২৭/১২/২০১৫ তারিখে ৫০ হাজার টাকা, ০৮/১১/২০১৬ তারিখে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ০২/০১/২০১৭ ইং তারিখে ২ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও ০১/০২/২০১৭ তারিখে ৫০ হাজার টাকা মোট ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা শ্রী হারান চন্দ্র দত্ত বিভিন্ন তারিখে বাড়ীতে সাক্ষী গণের সম্মুখে নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. জার্জিস হোসেন দুলাল, মো. আব্দুল খালেক, উভয়ের সাং- সুজাপুর, পোষ্ট- ফুলবাড়ী, উপজেলা- ফুলবাড়ী, জেলা-দিনাজপুর। আব্দুর রউফ এর ভাগিনা মো. মিজানুর রহমানকে নিয়ে সাদা কাগজে শ্রী হারান চন্দ্র সহ সাক্ষীগণ সাক্ষর করেন। উক্ত টাকা পৌরসভা নির্বাচনের আগে ও পরে প্রদান করেন আব্দুর রউফ। কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে আব্দুর রউফকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে মর্মে কালক্ষেপন করেন। বহু ঘুরাঘুরি করার পর জমি রেজিস্ট্রি না করে দেওয়ায় জমির বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পরবর্তীতে জানতে পারে হারান চন্দ্র গোপালপুর মৌজার নামীয় সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন।
এই ঘটনায় আব্দুর রউফ ফুলবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরায় চৌধুরী বিষয়টি অবগত করলে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে হারান চন্দ্র দত্ত প্রভাষকের নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করেন বিষয়ে স্বীকার করেন। অচিরেই গ্রহণকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু চর্তুবাজ পৌর কাউন্সিলর শ্রী হারান দত্ত গত ৫ বছর ধরে টাকা ফেরত প্রদান না করে হয়রানি করছেন। ২৩/১০/২০২০ ইং তারিখে আব্দুল রউফ এর পুত্র সহ স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে হারান চন্দ্রের বাড়িতে প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ টাকা দিবে না মর্মে জানিয়ে দেন। এই ঘটনার বিষয়ে নিরুপায় হয়ে প্রভাষক আব্দুর রউফ পুলিশ সুপার বরাবর ন্যায় বিচার পেতে লিখিত অভিযোগ করেন।
গত ০৯/১১/২০২০ তারিখে আব্দুর রউফ ফুলবাড়ী পৌরসভায় অভিযোগ করে সুষ্ঠু বিচার চাইলে ফুলবাড়ী পৌরসভার চেয়ারম্যান ১১/১১/২০২০ ইং তারিখ বুধবার দু’পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। যাহার কেস নং-৫৬/২০২০-২১। কিন্তু সেখানে অভিযোগকারী আব্দুর রউফ কোন বিচার পাননি। পৌর কাউন্সিলর শ্রী হারান দত্ত জমি দেওয়ার বাবদ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণ করেন তারও প্রমাণ রয়েছে।
এই ঘটনায় প্রভাষক আব্দুর রউফ ন্যায় বিচারের আশায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিএন/মো. আফজাল হোসেন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ