আজকের শিরোনাম :

কাউখালীতে ভাঙ্গনরোধে নদী তীরে অবস্থান কর্মসূচি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১২:১২

পিরোজপুরের কাউখাউলীর সন্ধ্যা নদীর আমরাজুড়ী এলাকা ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে আমরাজুড়ী বাজার ও ফেরিঘাট এলকায় তীব্র ভাঙনে ব্যাপক এলাকা হুমকীর মুখে পড়েছে।

ভাঙন রোধের দাবিতে আজ সোমবার কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ভাঙন কবলিত আমরাজুড়ী নদীতীরে এলাকাবাসি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ অবস্থান কর্মসূচিতে ভূক্তভোগী ৫০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার অংশ গ্রহণ নেন।

এ সময় কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল লতিফ খসরুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী ছিদ্দিকুর ইসলাম, এনায়েত হোসেন, ইকবাল হোসেন।

এসময় এলকাবাসি আমরাজুড়ী বাজার সহ ওই এলাকারা বসবাসকারি মানুষদের বসতবাড়ি ও জমিজমা রক্ষার্থে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নদীর ভাঙনরোধে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা না গ্রহণের ফলে স্থানীয় আমরাজুড়ী বাজারের অন্তত ২৫টি বাসাবাড়ি ও দোকানপাট নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে আমরাজড়ী ফেরিঘাট এলাকা চরম হুমকীর মুখে পড়েছে। এখানকার ভাঙনে ৫০টি পরিবার আজ ক্ষতির সম্মূখীন। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরাজুড়ী বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীনের আশংকা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ি মো. সিদ্দিকুর ইসলাম বলেন, গত ৩০ বছর ধরে আমরা ভাঙনের কবলে। অথচ ভাঙনরোধে আজ অবধি কোনও ব্যবস্থা নেওয় হয়নি। আমরাজুড়ী বাজারের ব্যবসায়ি ও বাসিন্দাদের বাঁচাতে হলে দ্রুত ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী। না হলে পুরো বাজার ও ফেরিঘাট এলাকা নদী গর্ভে চলে যাবে।

এ ব্যাপারে কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে আমরাজুড়ী বাজার এলাকা আজ চরম বিপন্ন। গত কয়েকদিন ধরে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। এতে ওই এলকার ৫০টি পরিবার ভিষণ ক্ষতিগ্রস্ত। ভাঙন ঠেকানোর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. খালেদা খাতুন রেখা ভাঙনের তীব্রতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরাজুড়ী ফেরিঘাট, বাজার ও কাউখালী নেছারাবাদ সংযোগ সড়কটি তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়সহ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি।

মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়, জেলা প্রশাসক স্যার এবং নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

এবিএন/সৈয়দ বশির/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ