আজকের শিরোনাম :

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সব মহলকে তৎপর হওয়ার আহ্বান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৯:০৬

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার প্রস্তুতি ও করণীয় নির্ধারণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীর অধিবাসীদের কিভাবে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা যায় এ নিয়ে আজ সোমবার সকালে নগরীর টাইগারপাস কর্পোরেশন অফিসের প্রশাসকের দপ্তরে জুমের মাধ্যমে অনলাইনে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক গাজী গোলাম মওলা, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ, সমাজ কল্যাণ অধিপ্তরের পরিচালক নুসরাত সুলতানা, চসিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মার্চে যখন প্রথম করোনার প্রকোপ দেখা দেয় তখন আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তেমন প্রস্তুতি ছিলো না। পরবর্তীতে আমরা করোনা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি শুরু করি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ৩’শ শয্যার পৃথক বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেনারেল হাসপাতাল ও ৩’শ শয্যা নিশ্চিত আছে। তারা আরো ১’শ শয্যার ব্যবস্থা করতে পারবে বলে আমাকে জানিয়েছে। প্রকোপ যদি বেশি বাড়ে সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের মেমন জেনারেল হাসপাতাল (ইউনিট-২) তেও করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। আইসোলেশন সেন্টারগুলোকে প্রয়োজনে আবার চালু করবো। কারণ এসব সেন্টারের যাবতীয় সরঞ্জাম আমাদের আছে।

তিনি নগরীর প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সাথেও এ নিয়ে আলাপ করবেন জানিয়ে বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে হবে। আমরা চাই না প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ যাতে প্রথম বারের মত রোগীদের সাথে আমানবিক আচরণ না করে। এবার যদি কোন রোগী প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক থেকে চিকিৎসাসেবা পেতে ব্যর্থ হন, তাহলে সেসব হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করাসহ প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়া হবে।

এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি মিয়া কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সিভিল সার্জনকে সার্বিক সহযোগীতা করার নির্দেশ দেন।

বৈঠকে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক গাজী গোলাম মৌলা যোগ দিলে, তাঁকে প্রশাসক স্কুল-কলেজের অনলাইন ক্লাসে মাস্ক, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে পরিস্কার করা, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেন।

বৈঠকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের উদ্দেশ্যে প্রশাসক বলেন, পতেঙ্গা সৈকত, শিশু পার্ক, গণ পরিবহন হাটবাজারে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করুন। বিশেষ করে মাস্ক পরিধানে গণ পরিবহনে বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা নিন। তিনি সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিয়ে-শাদির আকার ছোট করে নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন।

সে সময় প্রশাসক সুজন বলেন, এই অতিমারী যে ভাবে পৃথিবীকে শাসন করছে নগরবাসীকে তা থেকে রক্ষায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সাবধানতা অবলম্বনের পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করতে বলেন।


এবিএন/জসিম/তোহা 

এই বিভাগের আরো সংবাদ