আজকের শিরোনাম :

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জাল সার্টিফিকেটে চাকুরী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০১৮, ১৩:০৯

সুনামগঞ্জ, ১২ আগস্ট, এবিনিউজ : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ৮ম শ্রেণির জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ পাওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। শনিবার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম-নৈশ প্রহরী পদে মৌখিক পরীক্ষায় সমন্বিত নম্বর পর্যালোচনা পুর্বক নিয়োগ পান সোহলে আহমদ। তিনি উপজেলার একই ইউনিয়নের রইছপুর গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র। ২ আগষ্ট মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গত ৯ আগষ্ট নিয়োগে তাকে বাছাই করা হয়।

খতিয়ে দেখা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সোহলে আহমদ স্থানীয়  হাজী কনুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির জাল সনদ দেন। বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হলে শনিবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীরা সত্যতা জানতে বিদ্যালয়ে গেলে জাল সার্টিফিকেটের সত্যতা বেরিয়ে আসে। বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি হাফিজ আমিন উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফতেফুল ইসলামসহ অন্যান্য গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সন তারিখ যাচাই-বাছাই করে রেজিষ্টার্ড খাতা দেখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় বলে নিশ্চিত করেন।

আধা ঘন্টার ব্যবধানে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী শ্যামন্ত দাসের কাছে রেখে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নামাজে গেলে পরক্ষণেই অফিস সহকারী প্রধান শিক্ষককে মোবাইল ফোনে জানান  তার নাম খাতায় পাওয়াগেছে। পরক্ষনে গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিদ্যালয়ে রেজিস্টার্ড খাতায় দেখা যায় নতুন করে সোহেল আহমদের নাম ডাবল নাম্বারে লিখা রয়েছে। যা পূর্বে ছিলনা। ১৯৯৯ সনের ৮ম শেণির শিক্ষার্থী ৫৬ নাম্বারের তালিকায় বশির উদ্দিন এর নাম রেজিস্টার রয়েছে। অপর পৃষ্টায় আবার ৫৬ নাম্বার বসিয়ে তার নাম লেখা হয়।  

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজ আমিন উদ্দিন হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং তাৎক্ষণিক রেজিস্টার্ড খাতা সভাপতি জব্দ করেন। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিজ আলী বলেন, সোহেল আহমদ আমাদের বিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র ছিলনা তা নিশ্চিত হওয়ার পর কে বা কারা অল্প সময়ের মধ্যে নতুন করে রেজিস্টার্ড খাতায় তার নাম অন্তর্ভুক্তি করেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজ আমিন উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফতেফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির সনদ জাল ও পরবর্তীতে রেজিষ্টার্ড খাতায় যিনি সোহেল আহমদের নাম অন্তর্ভুক্তি করেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, জাল সনদ দিয়ে থাকলে খতিয়ে দেখে  বিধি মোতাবেক প্যানেল অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। অপর দিকে জাল সনদ তৈরী ও বিদ্যালয়ের কেউ জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে তা যাচাই বাছাই করে তার বিরুদ্ধে আইনানুন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এবিএন/ অরুন চক্রবর্তী/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ