আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে তিস্তার বাঁধ নির্মাণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০১৮, ১১:১৬

লালমনিরহাট, ১২ আগস্ট, এবিনিউজ : ফসল রক্ষার্থে স্থানীয়দের সাহায্যে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর বাম তীরে স্বেচ্ছাশ্রমে ৬০ মিটার বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে শতাধিক গ্রামবাসী। গত শনিবার ও রোববার উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের ধুবনী ও মধ্য ধুবনী গ্রামে ৪ টি পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হয়েছে ।

হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ জানান, বিগত বন্যায় তিস্তা নদীর পানির চাপে ধুবনী ও মধ্য ধুবনী গ্রামে চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙে রোপা-আমনের ব্যাপক ক্ষতি করে। আগামী দিনে বন্যার কবল থেকে জনবসতি ও ফসল রক্ষার্থে স্থানীয়রা বাঁধটির ভেঙে যাওয়া চারটি স্থানে মেরামতের উদ্যোগ নেয়।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের এ কাজে সহযোগিতা করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে বস্তা সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্রামবাসী স্থানীয়দের কাছ থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের পাইলিং দিয়ে বালুর বস্তা ফেলা শুরু করেছে। ধুবনী ও মধ্য ধুবনী গ্রামের ভেঙে যাওয়া চারটি স্থানে যত বস্তার প্রয়োজন হবে সব উপজেলা প্রশাসন সরবরাহ করবে বলেও জানান তিনি।

মধ্য ধুবনী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল জানান, প্রতিবছর বর্ষা এলেই তাদের এই বাঁধের কোনো না কোনো স্থান ভেঙে যাচ্ছে। এতে করে সিংগীমারীসহ অন্তত তিনটি ইউনিয়নে পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এবছরও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রোপা-আমন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। ফলে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রোপা-আমন ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা তাদের দুর্ভোগ লাঘবে নিজেরাই বাঁধটি মেরামতে উদ্যোগ নিয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, ধুবনী এলাকায় বারবার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ করছে। তবে হাতীবান্ধাবাসীকে রক্ষায় উক্তস্থানে নতুন করে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার হাতে নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এবিএন/ আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ