মদনে মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা, গ্রেফতার ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৮, ১৯:২৩

মদন (নেত্রকোনা), ১১ আগস্ট, এবিনিউজ : নেত্রকোনার মদনে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজী ফেরদৌস মিয়াকে মারপিটের ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রহুল আমিন সাগর বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মদন থানায় একটি মামলা দায়েছেন। এরই প্রতিবাদে আজ শনিবার বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের নেতারা। 

মিছিল শেষে, থানার সামনে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর কমান্ডার শামছুল ইসলাম খসরু,সাবেক ত্রান কমান্ডার আব্দুল খালেক,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক জাকির হোসেন উজ্জল, সদস্য সচিব সাজেদুল করিম সাজু প্রমূখ। এসময় ওসি মোঃ রমিজুল হক বিক্ষোভকারীদের সান্তনা দিয়ে বিচারের আশ্বাস দেন। ধৃত আসামি রাফি ও জাহাঙ্গীরকে শনিবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার চানগাঁও শাহাপুর (নয়াপাড়া) গ্রামের কাঞ্চনের ছেলে পাপ্পু একই গ্রামের মেনু ফকিরের রোপন কৃত আমন জমির আইল ভেঙে পাওয়ার টিলার নিয়ে গেলে জমির পানি নিচু জমিতে নেমে যায়। এ নিয়ে পাপ্পু ও মেনু ফকিরের কথা কাটাকাটি হলে বাদী বীরমুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস গাজীর ছেলে রহুল আমিন সাগর ভেঙে দেওয়া আইল বেধেঁ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে। এতে পাপ্পু উত্তেজিত হয়ে সাগরকে গালাগালি ও ঠেলাধাক্কা মেরে হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এর কিছুক্ষণ পর গ্রাম শালিস করে ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ারের হোন্ডা যোগে উপজেলা সদরে আসার উদ্দেশ্যে শাম্য ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে সড়কে পৌঁছলে কাঞ্চলের ছেলে রাফি,খোকনের ছেলে সোহাগ,মৃত রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীরসহ ৬/৭জন হোন্ডার গতিরোধ করে কমান্ডারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ডেপুটি কমান্ডার গুরুতর আহত হলে তাকে দ্রুত মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেনও আহত হয়েছেন। 

মামলার বাদী রহুল আমিন সাগর জানায়,আমার পাড়ার মেনু ফকিরের জমি দিয়ে পাওয়ার টিলার নিয়ে গেলে আইল ভেঙে পানি নেমে যায়। এর প্রতিবাদ করায় বিবাদীগণ আমাকে মারার হুমকি দেয় এবং আমার বাবাবে রাস্তায় আটকিয়ে মারপিট করে। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আহত ডেপুটি কমান্ডার গাজী ফেরদৌস মিয়া জানান, আমি এই ঘটনা কিছুই জানিনা। শালিস করে মদন আসার পথে সাম্য ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে পৌঁছা মাত্রই বিবাদীগণ আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে মারপিট করে। আমি বর্তমানে মদন হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।

পৌর কমান্ডার শামছুল আলম খসরু জানান,অহেতুক একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছি। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা  মান্ডার মোঃ ওয়ালীউল হাসান বলেন, এ ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আহত ডেপুটি কমান্ডারকে দেখতে হাসপাতালে যাই এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ওসিকে বলি।

এবিএন/তোফাজ্জল হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ