আজকের শিরোনাম :

চিতলমারীতে সরকারী কালভার্ট বন্ধ করে ইমারত নির্মাণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০১৮, ২০:২৯

বাগেরহাট, ০৯ আগস্ট, এবিনিউজ : বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রভাবশালী এক প্রবাসী ব্যাক্তি সরকারি কার্লভাট ও খাল বন্ধ করে পাঁকা ইমারত নির্মাণ করছেন।

গুরুত্বপূর্ণ এ কালর্ভাট ও খাল বন্ধ করলে সুরশাইল-কুরমনি গ্রামের অর্ধশত চিংড়ি ঘের এবং দেড়শতাধিক পরিবার সামন্য বৃষ্টিতে প্লাবিত ও স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হবেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে।

সৃষ্ট এ জটিলতা থেকে রক্ষা পেতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামবাসিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।

আবেদনপত্র সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার সুরশাইল-কুরমনি মৌজার সীমান্তবর্তী ফড়িয়াবাড়ির খালের কালভার্ট ও খাল বন্ধ করে জনৈক্য তপন দাস নামের বহিরাগত এক প্রভাবশালী ব্যক্তি টাকার গরম দেখিয়ে পাঁকা ইমারত নির্মাণ করছেন। কুরমনি ও সুরশাইল বিলের পানি এই ফড়িয়া বাড়ির খাল দিয়ে সরানোর একমাত্র ব্যবস্থা।

ফলে এই কালর্ভাট ও খালটি বন্ধ করলে দুই গ্রামের অর্ধশত চিংড়ি ঘের ও দেড়শতাধিক পরিবার সামন্য বৃষ্টিতে প্লাবিত ও স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হবেন। খালটি অত্র এলাকার কৃষকদের চাষাবাদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রামীবাসীরা সমস্যার কথা তুলে ধরলে তপন দাসের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। তাই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে।

কুরমনি গ্রামের প্রবীণ ব্যাক্তি বিমল বিশ্বাস, কৃষক রেজাউল দাড়িয়া, সুরশাইল গ্রামের চিংড়ি চাষি সুধাংশু মন্ডলসহ অনেকে  জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে কুরমনি ও সুরশাইল বিলের পানি এই ফড়িয়া বাড়ির খাল দিয়ে সরানো হয়। খালটি অত্র এলাকার কৃষকদের চাষাবাদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া দুই মৌজার সমীনায় ৬ ফুট করে ১২ফুট অতিরিক্ত জমি রয়েছে। এটি রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।

এ ব্যাপারে তপন দাসের শ্বশুর নিত্য রঞ্জন দাস জানান, কুরমনি গ্রামের শিবনাথের কাছ থেকে তার জামাতা ওইখানে ৫ শতক জমি কিনেছেন।

তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুসাঈদ জানান, লিখিত অভিযোগটি তিনি এখনো হাতে পাননি। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে জানান।

এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ