নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় কমিটির সভাপতি গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২৭
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলাধীন ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় এবার মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতুল্লার তল্লার নিজ বাসা থেকে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে হতাহতের ঘটনায় চার্জশীট (অভিযোগপত্র) চূড়ান্তের পথে। এতে ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করা হতে যাচ্ছে।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৩৬ জনের বিষয়ে কাজ চলছে। এ ৩৬ জনের মধ্যে তিতাসের ৮জন, ডিপিডিসির দুইজন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ২৬ সদস্য রয়েছে। তবে এটা কম বেশী হতে পারে।
এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী সহকারী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, কর্মী ইসমাইল প্রধান, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইউব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মনিবুর রহমান চৌধুরী এবং অভিযোগপত্রে ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের মিটার রিডার আরিফুর রহমান ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিপিডিসির দুজন গ্রেফতার হন। এর আগে তারা সাময়িক বরখাস্ত হন। পরে তারা জামিন পান এবং চাকুরিতে পুনরায় বহাল হন। তবে চাকুরিতে যোগদান করলেও কেউ এখন পর্যন্ত নিজ কর্মস্থলে যোগ দেননি। এতে গ্রেফতার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ছেন।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়। যাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক রয়েছেন দুই জন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলা পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
এবিএন/ইমন/জসিম/তোহা
বিস্ফোরণের ঘটনায় পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলা পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
এবিএন/ইমন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ