আজকের শিরোনাম :

বাউফলে সরকারি খালের দু’পাড় প্রভাবশালীদের দখলে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৩:০০

পটুয়াখালীর বাউফলে পৌর শহরসহ, উপজেলার কালাইয়া, কালিশুরী, বগা, কনকদিয়া, নগরেরহাট, হাজিরহাট, কাশিপুর, বাহেরচর, কালিশুরীবন্দরে মালামাল পরিবহন কাজে ব্যবহারিত খালগুলোর দুই পাশের সরকারি জায়গা দখল করে প্রভাবশালী মহল পাকা বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় নাব্যতা হারিয়ে খালগুলো এখন মৃত্যু প্রায়। নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এসব খাল দিয়ে এখন আর নৌকা কিংবা ট্রলার চলাচল করতে পারছেনা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাউফল পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পাকা ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দেন। সেই জমিতেই পুনরায় প্রভাবশালীরা দখল করে বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে।

বাউফলের তেঁতুলিয়া নদী থেকে বাণিজ্য কেন্দ্র কালাইয়া বন্দরের প্রবেশ পথ থেকে ধান হাট এবং ধানহাট আরসিসি ব্রিজ থেকে দক্ষিণ দিকে বেইলী ব্রিজ পর্যন্ত খালের দুই পাশের জায়গা স্থানীয়  প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে। দখল করে সে জায়গায় তারা পাকা বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে। ভূমি অফিসের এক শ্রেনীর অসুদুপায়ি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগ সাজসে এসব খালের দু’পাড় দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।

বাউফল পৌর শহর, কালিশুরী, কাশিপুর, বগা, হাজিরহাট, নগরেরহাট ও কনকদিয়া বন্দরের খালগুলোর দু’পাশের জায়গাও একই ভাবে দখল করে নিয়ে বাড়ীঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে প্রভাবশালী মহল। খালের দুই পাড়ের জায়গাগুলো দখল করে নেয়ার পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে খালগুলো এখন মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে এবং নাব্যতা না থাকায় নৌকা কিংবা ট্রলারও চলাচল করতে পারছেনা।

এ বিষয় বাউফল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান বার্লি বলেন, সরকারি খাল দখল করার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ দখল করে থাকে তার বিরুদ্বে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, হাজিরহাট বাজারে আমরা সরকারি জায়গায় ঘর নির্মানের অভিযোগ পেয়েছি তা আমরা ভেঙ্গে ফেলেছি এ ধরনের অভিযোগ পেলে সেটার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/মো. দেলোয়ার হোসেন/গালিব/জসিম

 

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ