আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে কোরআন অবমাননার ঘটনাটি গুজব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫১

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল বন্দর জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুছ মোঃ সহিদুন্নবী জুয়েলকে প্রথমে মারধর পরে পিটিয়ে হত্যা করে তার লাশ পুড়ে ফেলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ওই মসজিদের ঈমাম সৈয়দ আলী ও খাদেম জোবেদ আলীর সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মসজিদে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে আবু ইউনুছ মোঃ সহিদুন্নবী জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে তার লাশ পুড়ে ফেলেন স্থানীয় বিক্ষুপ্ত জনতা। নিহত আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রি পাড়ার মৃত আবু ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন সুলতান জোবায়ের আব্বাস (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি। তিনি একই এলাকার শেখ আব্বাস আলীর ছেলে, পেশায় দলিল লেখক।

মসজিদের খাদেম জোবেদ আলী জানান, আবু ইউনুছ মোঃ সহিদুন্নবী জুয়েল নামে ওই ব্যক্তি প্রথমে আসরের নামাজ আদায় করেন। তিনি নিজে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মসজিদের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র ও জঙ্গি খুজতে থাকে। তিনি কোরআনের উপর পা দেয়নি। কিন্তু  হঠাৎ করে মসজিদের বারেন্দা থেকে হোসেন নামে এক ব্যক্তি তাকে আটক করে মসজিদের বাহিরে নিয়ে গিয়ে জুতা খুলে মারধর করেন। মুহুর্তের মধ্যে শত শত লোক জড়ো হয়। পরে হাফিজুল ইসলাম নামে এক ইউ-পি সদস্য এসে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।

মসজিদের ঈমাম সৈয়দ আলী বলেন আমি যখন মসজিদ থেকে বের হয় তখন ওই ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করেন। তার আচরণ দেখে আমার ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে।

লালমনিরহাট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ওই মসজিদ পরিদর্শন করেছি। ঈমাম, খাদেম ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে গুজব ছড়িয়ে ওই ব্যক্তি হত্যা করা হয়েছে।

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থা ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করছে। এই ঘটনায় একাধিক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান।
 

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ