আজকের শিরোনাম :

নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১২:৩৯

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আধাপাকা ঘর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, কেউ গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাহিকতায় খুলনার তেরখাদায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (রাজবংশী) সম্প্রদায়ের জন্য আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে এই বিশেষ ঘর তৈরি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আধাপাকা ঘর পেয়ে খুশি নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যরা। 

ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য সহায়তা শীর্ষক একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেন।  

ওই কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলার মতো তেরখাদা উপজেলায় ১০টি ঘর বরাদ্দ করেছেন। বরাদ্দকৃত ঘরগুলো সরেজমিনে বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যালোচনা করে তৎকালনী ইউএনও বিষ্ণুপদ পাল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ বেগম, উপজেলা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর কমিটি নেতারা ঘরগুলো বিভাজন করেন।

সারা বিশ্বে বৈশ্বিক মহমারি করোনার কারণে নির্মাণ কাজের গতি বেগবান হওয়ায় পরবর্তীতে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম হলে তৎকালীন ইউএনও শিমুল কুমার সাহা, সহকারী কমিশনার ভূমি মমতাজ বেগম, বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার হক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহেল রানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১০টি পরিবারের মাঝে সেমিপাকা ঘর নির্মাণের কাজ গুণগত মান সম্পন্ন মালামাল ও দক্ষ মিস্ত্রী দ্বারা কাজটি সুসম্পন্ন করেন। মাথা গোঁজার নতুন সেমিপাকা ঘর পেয়ে খুশি তেরখাদার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারগুলো। 

উপজেলার নলামারা এলাকার প্রফুল্ল মুনি বলেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি উপজেলা প্রশাসনকে, তাদের তত্ত্বাবধানে ঘর করায় আমাদের সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের জনগণ খুশি। প্রশাসনের কারণে আমরা সঠিক সময়ে গুণগত মানের মালামাল ও দক্ষ শ্রমিকের কাজের মাধ্যমে ঘরগুলো বুঝে পেয়েছি। অতীতে এই উপজেলায় এত ভালো মানের কাজ হয়েছে বলে আমার জানা নেই। 

আগে আমাদের একটি পুরাতন জরাজীর্ণ টিনের ঘর ছিল, আমি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি, ঘর মেরামত করার মতো সামর্থ ছিল না। নতুন ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি।

তেরখাদা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকার সবুজ রায় বলেন, আগে টিনের ছাউনির একটি জরাজীর্ণ দো-চালা ঘর ছিল, পরিবারের লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের থাকতে অনেক কষ্ট হতো, আমি ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। 

সদরের উত্তরপাড়া এলাকার সুবিধাভোগী কুমারেশ বালা জানান, আগে তার একটুকরো জমির উপর একটি ভাঙা টিনের ঘর ছিল। আর সেই একটি ঘরে তিন মেয়েসহ পাঁচ সদস্য নিয়ে অনেক কষ্টে বসবাস করত। সে ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে সংগ্রাম করে পার করেছে দীর্ঘকাল। নতুন ঘর পেয়ে তার পরিবার খুব আনন্দিত।  

প্রকল্পের সভাপতি সাবেক ইউএনও শিমুল কুমার সাহা বলেন, এটি একটি সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যারা ঘরগুলো পেয়েছেন, তারা হতদরিদ্র। তারা এক সময় বেড়ার ঘরে জীবন যাপন করেছেন, এখন তারা অনেকটাই ভালোভাবে থাকতে পারবেন।

 

এবিএন/ইমরান/জসিম/এসই 

এই বিভাগের আরো সংবাদ