আজকের শিরোনাম :

জলঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৮, ২০:১৯

জলঢাকা (নীলফামারী), ০৮ আগস্ট, এবিনিউজ : নীলফামারীর জলঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল প্রতি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দলিল লেখকদের উপর। আজ বুধবার বিকালে টাকা চাওয়ার অভিযোগে এক দলিল লেখককে থানায় নিয়ে আসেন সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর।

পরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার নিজ দায়িত্বে ওই দলিল লেখককে থানা থেকে নিয়ে যান। অভিযুক্ত দলিল লেখকের নাম জিকরুল ইসলাম। জলঢাকা দলিল লেখকদের উপর অভিযোগ যে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত দুই সপ্তাহ থেকে আবার পুরোদমে দলিল প্রতি সমিতির চাদা হিসাবে ২ হাজার ৫ শত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এতে করে এলাকায় ক্রেতা বিক্রেতা জমি বিক্রি করতে এসে প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।

জমি বিক্রেতা আসাদুজ্জামান জানান, আমি গোলমুন্ডা ইউনিয়নের হলদিবাড়ী মৌজার ৬ শতাংশ জমি বিক্রির দলিল করতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসি। কিন্তু দলিল লেখকদের নিযুক্ত দালাল আমাকে জানায় যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের সাথে যোগাযোগ করতে। কারন, ওই দালাল বলে বাহাদুর বললে তোমার ২৫০০টাকা মওকুফ হবে।

সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা বাহাদুর থানায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার নাম ব্যাবহার করে দলিল লেখকরা চাদাবাজি করছে। তাই অভিযুক্ত দলিল লেখককে থানায় নিয়ে এসেছি। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।

অভিযোগের বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার বলেন, ভাই আমি মিটিংয়ে আছি। পরে এ বিষয়ে বক্তব্য দিব। জলঢাকা সাব রেজিস্ট্রার মোঃ শাহাজাহান আলী নিজের অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এ অফিসে যোগদানের পর থেকে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করেছি। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য ভুমি ও রেজিস্ট্রি সেবা এবং ভুমি রেজিস্ট্রি ক্যালকুলেটর নামে দুটি মোবাইল এ্যাপস তৈরি করেছি। এতে করে ক্রেতা বিক্রেতারা উভয়ে সুবিধা পাচ্ছে এবং দুর্নীতি অনেকটা রোধ হয়েছে। তিনি আরো জানান দলিল লেখকগন এখন সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। এ গোষ্ঠির কাছে আমরা অসহায়।

এবিএন/হাসান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ