‘ডাক্তার এই যে চলে এসেছে’ আশ্বাসে বুক খালি হলো মায়ের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০১
গাজীপুরের কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার জন্য এক প্রসূতির সদ্যজাত শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে প্রসবের পরই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ 'ডাক্তার আসছে', ‘এই যে চলে এসেছে, 'আর কয়েক মিনিট’ বলে সিজারের অপারেশন করতে বিলম্ব করায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাবা এনামুল কবির। তিনি বলেন, গর্ভবতী স্ত্রী আফসানা আক্তারের সন্তান প্রসবের নির্ধারিত তারিখ ছিল ৫ নভেম্বর। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ স্ত্রী অসুস্থ হলে কালীগঞ্জের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসি। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকলেও হাসাপতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতি করে স্ত্রীকে বসিয়ে রাখে। 'ডাক্তার আসছে', 'এই যে চলে এসেছে', 'আর কয়েক মিনিট' এসব বলে আশ্বাস দিয়ে সময় নষ্ট করে। বিকেল ৪টায় স্ত্রীর অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর নবজাতকের হৃদযন্ত্র সচল ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমার সদ্যজাত সন্তানটির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবহেলা না করে দ্রুত অপারেশন করলে বাচ্চাকে বাঁচানো যেতো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মাসে সিজারের সময় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি দৃষ্টিশক্তি হারান। এছাড়াও গত বছর এই হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় একজন শিশু ও একজন মা মারা যান। এতো ঘটনার পরও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন মিরাজ বলেন, প্রসূতি আফসানা আক্তার মৃত সন্তান প্রসব করেন। উল্টো তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, কে বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতক মারা গেছে? অপরারেশন তো ডাক্তার করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নয়।
আফসানার গাইনি চিকিৎসক সানজিদা পারভিন বলেন, রোগী ব্যাথা নিয়ে হাসাপাতালে আসলেও তখন তার অতিরিক্ত প্রেসার ও ডায়াবেটিস ছিল। হাসপাতালে আনার পর নবজাতক মায়ের গর্ভে পায়খানা করে দেয়। নবজাতকের অবস্থাও খারাপ ছিল।
কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/ইমরান/জসিম/এসই
এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ 'ডাক্তার আসছে', ‘এই যে চলে এসেছে, 'আর কয়েক মিনিট’ বলে সিজারের অপারেশন করতে বিলম্ব করায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাবা এনামুল কবির। তিনি বলেন, গর্ভবতী স্ত্রী আফসানা আক্তারের সন্তান প্রসবের নির্ধারিত তারিখ ছিল ৫ নভেম্বর। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ স্ত্রী অসুস্থ হলে কালীগঞ্জের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসি। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকলেও হাসাপতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতি করে স্ত্রীকে বসিয়ে রাখে। 'ডাক্তার আসছে', 'এই যে চলে এসেছে', 'আর কয়েক মিনিট' এসব বলে আশ্বাস দিয়ে সময় নষ্ট করে। বিকেল ৪টায় স্ত্রীর অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর নবজাতকের হৃদযন্ত্র সচল ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমার সদ্যজাত সন্তানটির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবহেলা না করে দ্রুত অপারেশন করলে বাচ্চাকে বাঁচানো যেতো।
এই বিভাগের আরো সংবাদ