আজকের শিরোনাম :

শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৫১

ঝিনাইদহ, ০৮ আগস্ট, এবিনিউজ : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত বিশ্বাসের উপর হামলা করে তাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।

এসময় বাধা দিতে গেলে চায়ের দোকানী রাজ্জাক বিশ্বাস নামের আরো এ ব্যক্তিও হামলার শিকার হয়ে গুরুত্বর জখম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বারুইহুদা গ্রামে।

জানা যায়, বারুইহুদা গ্রামের আশরাফ বিশ্বাস পাওয়ার ট্রিলার চালক বগুড়া গ্রামের নওশেরের ছেলে নাজমুলকে জমি চষে দিতে বলে। জমি চষতে দেরি হবে বলে নাজমুল জানালে আশরাফ বিশ্বাস তাকে মারধর করে। এ খবর শুনে বগুড়া গ্রামের পাওয়ার ট্রিলার চালক নাজমুলের সামাজিক দলীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বারুইহুদা গ্রামে ছুটে আসে।

পরে তারা আশরাফ বিশ^াসকে না পেয়ে বিকে বাজারে চায়ের দোকানে বসা তার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত বিশ্বাসের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম করে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে চায়ের দোকানী রাজ্জাক বিশ্বাসকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। আহতরা বর্তমানে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শৈলকুপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হাসমত বিশ্বাস জানান, তিনি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় ২০/২৫ জন লোক এসে তার উপর হামলা চালায়। এরমধ্যে বন্দুক যুদ্ধে নিহত বগুড়া গ্রামের চরমপন্থী ওলিয়ারের ছেলে হিরো, বন্দুকযুদ্ধে নিহত চরমপন্থী কিবরিয়ার ছেলে রয়েল, ইউনুসের ছেলে রাসেল, জাহাঙ্গীরের ছেলে শুভ, কাওসারের ছেলে সোহাগ, বারুইহুদা গ্রামের খালেক ও তার ছেলে সুইম এবং আনুর ছেলে ইয়াসিনসহ আরো অনেকেই তিনি চিনতে পেরেছেন।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাধা দিতে গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নামের আরো এক চায়ের দোকানী গুরুত্বর আহত হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রয়েল ও সুইম নামের দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আজ বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এবিএন/যবনিকা/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ