আজকের শিরোনাম :

ভুরুঙ্গামারীতে মালিকানা দখলীয় সম্পত্তি রক্ষার্থে মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২০, ২০:২৬

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিকে সামরিক ভূ-সম্পত্তি দাবী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভূমি মালিকরা। সোমবার সকালে শহরের জামতলা মোড়ে মানববন্ধন করেন স্বত্ব দখলীয় ভূমি মালিকগন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ভূমি মালিক সমিতির আহ্বায়ক তাইফুর রহমান মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এছাহক আলী ব্যাপারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার, কাজি নিজাম উদ্দিন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন প্রমুখ।

তারা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধের প্রয়োজনে তৎকালীন সময়ে বাগভান্ডার হতে সোনাহাট স্থলবন্দরগামী রাস্তাটি তৈরি হয়। অল্প সময়ে যুদ্ধ শেষ হওয়ায় উক্ত জমি অধিগ্রহন করেনি বা জমির মালিকগনকে ক্ষয়ক্ষতির অর্থ প্রদান না করায় উক্ত জমি ব্যক্তি মালিকানায় এসএ রেকর্ড চুড়ান্ত হয়। সে মোতাবেক ভুমি মালিকরা তাদের নামে নামজারী করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে আসছে। বর্তমান মাঠ জরিপের সময় জনস্বার্থে রাস্তাটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড হয় এবং রাস্তার দু‘পার্শ্বের জমি স্বত্ত্ব দখলীয় ভূমি মালিকদের নামে রেকর্ড হয়।

তারা অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা নিজ হাতে কিছু কাগজপত্র সৃষ্টি করে সামরিক ভূ-সম্পত্তি নর্দান সার্কেল বগুড়া সেনানিবাসকে তাদের জমি বলে প্রচার করলে বগুড়া সেনানিবাস নর্দান সার্কেল উক্ত রাস্তার দু‘পার্শ্বের বসত-বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কৃষি জমি তাদের বলে দাবী করছেন।

৩২নং বাগভান্ডার ও ৪৪ নং দেওয়ানেরখামার, ৪৫নং গছিডাঙ্গা, ৪৬নং পাইকেরছড়া, ৬৪নং বানুরকুটি সহ ৫টি মৌজার বিপরীতে সামরিক দপ্তর থেকে ডিসপুট কেস দায়ের করলে তৎকালীন সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সঠিক কাগজপত্র না থাকায় ডিসপুট কেসগুলো না মঞ্জুর করে ব্যক্তি মালিকদের নামে রেকর্ড বহাল রেখে ডিপি খতিয়ান প্রস্তুত করেন।

তারা বলেন উক্ত জমিতে প্রায় ৪/৫ হাজার পরিবার বসতবাড়ি, দোকানপাট, ব্যাংক-বিমা অফিস সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এমতাবস্থায় ভূমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হলে তারা অসহায় হয়ে পড়বে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভূরুঙ্গামারী উপজেলাধীন আসাম বেঙ্গল এ্যাকসেস মিলিটারী রোড নির্মানের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫টি মৌজার ৯৮.৭০ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়। যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জমি দাবী করা হচ্ছে।

মানবন্ধন শেষে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
 

এবিএন/এ এস খোকন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ