আজকের শিরোনাম :

রায়হানের মৃত্যুতে ৩ পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫১

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। এই তিনজনই ওই ফাঁড়ির কনস্টেবল। তারা হলেন, শামীম, সাইদুর ও দেলোয়ার।

আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের তিনজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তারা আদালতে ওই রাতের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ঘটনার বর্ণনা দেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই তিনজন ওই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত বা প্রত্যাহার হওয়া সাতজনের মধ্যে কেউ নন। মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম ওই রাতের ঘটনার সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য রেকর্ড করতেই তাদের আদালতে তোলেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর সকালে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রায়হান। সেদিন সিলেট বন্দর ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নগরের কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে এলাকাবাসী রায়হানকে গণপিটুনি দিলে গুরুতর আহন হন তিনি। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়। 

কিন্তু এই মৃত্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটি জানাচ্ছে, এলাকাবাসীর গণপিটুনি নয়, পুলিশের হেফাজতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন রায়হান। এরপর তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে তার মৃত্যু হয়।  রায়হানের মৃত্যুতে মূল অভিযুক্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে। 

এ ঘটনায় আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমেদের বাড়ি সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার।  রিকাবীবাজার এলাকায় স্টেডিয়াম মার্কেটের ডা. আবদুল গফ্ফারের চেম্বারে তিনি চাকরি করতেন তিনি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ