রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পদ্ধতি বাতিল
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০৬
ঢাকা, ০৬ আগস্ট, এবিনিউজ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আগামীবছর থেকে রাবির ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকবে না।
আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভর্তিচ্ছুরা আগামী ৩ থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করতে পারবে। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাছাই করে প্রতি ইউনিটে ৩২ হাজার ভর্তিচ্ছু অংশ নিতে পারবে বলে জানা যায়।
আসলাম হোসেন জানান, পূর্বের মতো এমসিকিউ পদ্ধিতিতেই এক ঘণ্টায় একশ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচটি ইউনিটে ৩২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তবে আগামী বছর থেকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ভর্তিচ্ছুদের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের জন্য ১২৫৪ টাকা, ‘বি’ ইউনিটের জন্য ৭২৬ টাকা, ‘ডি’ ইউনিটের জন্য ৯৯০ টাকা এবং ‘ই’ ইউনিটের জন্য ১১২২ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০, বাণিজ্য শাখায় উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং বিজ্ঞান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।
তবে লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিন্ধান্ত বাতিল করার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আর বেশি দিন নাই। হঠাৎ করে এই নিয়ম চালু করলে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিতে পড়বে। তাই আমরা এ বছর এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবো। তবে আগামী বছর থেকে এমসিকিউ ও লিখিত দুই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গত ২৩ জুলাই ভর্তি উপ-কমিটির সভায় এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল করে লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো।
এবিএন/মমিন/জসিম