ইবিতে লেকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধন
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৯:৩২
ইবি, ১৭ জুলাই, এবিনিউজ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসের পশ্চিমাংশে অবস্থিত লেকের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী এ কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকারিয়া রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জামান খাঁন টুটুল, আকিজ গ্রুপের সিনিয়র সেলস ম্যানেজার নাসিম হাসান পিকুল, জনসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের উপ-পরিচালক আতাউল হক, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম প্রমুখ।
লেক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ কাজ আরম্ভ হল। এই পরিকল্পনায় প্রধানত রয়েছে লেকের দুইধারে ৮ ফুট চওড়া দুটি রাস্তা ও ৩টি ঝুলন্ত সেতু। এছাড়া আরও ৩টি ফোয়ারা, প্রায় ২শ’ দর্শনার্থীর বসার স্থান, একাধিক ছত্রাক ছাউনি, কফিশপ ও স্প্রীড বোর্ড।
এ বিষয়ে লেকের সংস্কার কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জামান খাঁন টুটুল বলেন, ‘পুরো পরিকল্পনাটি সম্পন্ন করতে আমাদের প্রায় ৪ কোটি টাকা প্রয়োজন এবং এটি আগামী ৩ বছরের মধ্যে শেষ হবে। এতে আমাদের খরচের একটি বিশাল অংশ হলো ঝুলন্ত সেতু। যা আকিজ গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা একটির স্পন্সর হিসেবে পেয়েছি। আরও দুটি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।’
উদ্বোধনকালে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে চলেছে। এক্ষেত্রে লেকের কাজ সম্পন্ন হলে এটি ক্যাম্পাসের অন্যতম বিনোদনের জায়গায় পরিণত হবে।’ এসময় আর্থিক সহায়তার জন্য তিনি আকিজ গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘এই লেকটি একটি বিশেষ পরিকল্পনা। এটি সম্পন্ন হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু সৌন্দর্যবর্ধন নয় একইসাথে এতদ্বঞ্চলের সকল মানুষের অন্যতম ভ্রমণস্থান এবং দর্শনীয়স্থান হিসেবে উপস্থাপিত হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরের কোথায় কি করলে ক্যাম্পাসটি আরো নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে এই লেকটিকে দর্শনীয় ও বিনোদনের স্থান করে গড়ে তুলতে চাই।’
এবিএন/অনি আতিুকর রহমান/জসিম/এমসি