আজকের শিরোনাম :

কোটাবিরোধী ছাত্রদের মিছিলে আবার হামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৮, ১৭:৩৪

ঢাকা, ১৫ জুলাই, এবিনিউজ : বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের একটি সমাবেশে আবারো হামলা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সম্প্রতি একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে - যার জন্য সরকার-সমর্থক ছাত্রলীগের সদস্যদের দায়ী করছেন তারা। পুলিশ গত কিছুদিনে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ছাত্রকে আটক করেছে।

এসব হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ, পরিবারের নিরাপত্তা এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে রোববার দুপুরের দিকে শহীদ মিনার এলাকায় আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি সভা করছিলেন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন।

তাদের একজন - সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক বিবিসি বাংলাকে জানান, সমাবেশ শুরু হবার পর কয়েক গজ দুরেই উল্টো দিকে আরেকটি ছাত্র সমাবেশ শুরু হয় এবং তারাও একই সময় মাইক লাগিয়ে বক্তৃতা শুরু করে । তারা সমাবেশকারীদের ঘিরে ফেলে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।

সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে বলে জানান তিনি।

এক পর্যায়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল বের করার পরপরই পাল্টা সমাবেশের লোকজন তাদের বাধা দেয়। তারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে 'স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি' 'জামাত শিবিরের দোসর' ইত্যাদি নানা কটুক্তি করে - বলেন মি. হক।

"এক পর্যায়ে তারা আমাদের সামনেই কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রদের আক্রমণ করে, কয়েকজন ছাত্রকে প্রহার করা হয়। তখন আমরা দৌড়ে গিয়ে বাধা দিই। মিডিয়া কর্মীরাও এসময় আক্রান্ত হয়" - বলেন ফাহমিদুল হক।

তিনি বলেন, প্রায় ১০ জনের মত ছাত্র আঘাত পেয়েছে তবে কাউকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয় নি।

তখন প্রোক্টর অফিসের কর্মকর্তাদের সহায়তা চাওয়া হলে কিছু সময় পর দু'জন কর্মকর্তা এসে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে চলে যাবার ব্যবস্থা করেন। তবে কোন পুলিশ ছিল না - বলেন এই শিক্ষক। ।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, "এরকম আক্রমণের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না। আসলে আন্দোলনকারীদের মধ্যেই নানা গ্রুপ আছে, তারাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। "

ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের নেতাদের দেখা গেছে - একথা বলার পর তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে কোন ঝামেলা লাগলে থামানোর জন্য হলেও তো ছাত্রলীগের নেতাদের যেতে হয়। সেটাকেই কেউ হামলার দায় চাপানোর জন্য ব্যবহার করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানি পরে বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা দেবার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু কেউ কেউ আমাদের কথা শুনছেন না, দেরি করে বা ঘটনা ঘটার পর আমাদের খবর দিচ্ছেন। সমাবেশ বা নিরাপত্তার জন্য অনুমতি নিচ্ছেন না, আমাদের অবহিতও করছেন না। " সূত্র: বিবিসি বাংলা

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ