শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কে কেন্দ্র করে প্রচারণায় মুখরিত জবি ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২৮ জানুয়ারি হচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। বিভাগে বিভাগে গিয়ে কথা বলছেন শিক্ষকরা। বরাবরের মত এবারো ক্ষমতাসীন দলের শিক্ষকরা দুটি প্যানেল দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রত্যেক পদে ২জন করে অংশগ্রহণ করলেও সভাপতি পদে ৩ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেছেন।

এবারের নির্বাচনে কোন প্যানেল ছাড়াই সভাপতি পদে অংশগ্রহণ করছেন ‘জয় বাংলা শিক্ষক সমাজে’র আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। এদিকে ক্ষমতাসীন নীল দলের দুই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ এবং একাউন্টিং এবং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর।

এবার নির্বাচনে ৬টি পদে মোট ৩১ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন এবং মোট ভোটার ৬৭৮ জন। এদের মধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন। সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ২জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন এবং সদস্য পদে ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

শিক্ষক সমিতি নীলদলের একটি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, মাত্র ১৪ বছরে উন্নয়ন ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখার মত অবস্থান রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যা আমরা দেখতে পাই।

শিক্ষক সমিতি নীলদলের অন্য একটি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আমার জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ন আশাবাদী। আমাদের তিন দলের মধ্যে সমঝোতা হলে আরও ভালো হতো। আমাদের মাঝে অনৈক্য একধরনের বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।

মাঠপর্যায়ে পরিদর্শনকালে, দেখা যায় দলবদ্ধ হয়ে শিক্ষকরা যার যার প্যানেলের জন্য ভোট চাচ্ছেন। এমন সময় সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সাথে আলাপ করলে, তিনি বলেন আমি নীলদলের মনোনীত প্যানেল হতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। তিনি বলেন, আমাদের প্যানেল বিজয়ী হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানোর ব্যাপার টা নিশ্চিত করব। শিক্ষকদের সকল  ন্যায্য দাবী পুরণের চেষ্টা করে যাব। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে, যুগোপযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করব।

আমরা বিজয়ী হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার মত নের্তত্ব আমাদের শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

এবিএন/মোস্তাকিম আহমেদ/জসিম/তোহা