ইবিতে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় রেফারিকে মারধরের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:১৭
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ম্যাচ রেফারিকে মারধর করেছেন খেলোয়াড়রা। এই ঘটনায় বিকেএসপি’র (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) খেলোয়াড়দের ব্যাপক আগ্রাসী হতে দেখা গেছে।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে ইংরেজি বিভাগ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ফাইনাল ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, খেলা চলাকালে রেফারির দেওয়া সিদ্ধান্তের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করেন ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়রা। পরে ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়দের মারধর করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের খেলোয়াড়রা। এতে রবিউল ইসলাম নামের এক রেফারি গুরুতর আহত হন। ওই রেফারির বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খেলার এক পর্যায়ে পেনাল্টির সুযোগ পায় ইতিহাস বিভাগ। রেফারির এ সিন্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মাঠ ত্যাগ করে চলে যায় ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়রা। পরে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুণরায় খেলা শুরু হয়। এরপর ফাউলের জের ধরে ইতিহাস বিভাগের আদনান (বিকেএসপি) ইংরেজি বিভাগের শুভ’র উপর চড়াও হলে ইংরেজি বিভাগ খেলা বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করে। এসময় রেফারি ক্যাম্পাসের থানা গেইট হয়ে চলে যেতে চাইলে ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়রা তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে প্রধান ফটক এলাকায় তাকে মারধর করে তারা। এসময় ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিজান, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শুভ (জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৯), ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নিশাতসহ বেশ কয়েকজন রেফারির উপর চড়াও হয়। পরে রেফারিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এদিকে, ইংরেজি বিভাগের নিশাতকে মারধর করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের খেলোয়াড়রা। এসময় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আদনান (বিকেএসপি), সাব্বির, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জিয়ন (বিকেএসপি), রমজান, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কাব্য, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ কল্লোলসহ ৭-৮জন ব্যাপক মারধর করেন। এসময় অনেকের হাতে লাঠি-সোডাও দেখা যায়। এদিকে সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করেন, খেলাধুলার মত ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলতার পরিচয় না দিয়ে বিশৃঙ্খলা করাটা হতাশাব্যঞ্জক। এক্ষেত্রে, বিকেএসপি এবং জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াদের আরো দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। এবিষয়ে ক্রীড়া ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। খেলোয়াড়দের থামাতে গিয়ে আমার কোর্টও ছিঁড়ে গেছে। খেলায় কোন দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। বিকেলে ভিসি স্যার মিটিং ডেকেছেন উভয় বিভাগের সভাপতিদের ডেকে সিন্ধান্ত নেবেন। মাঠের নিরাপত্তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটায় মিটিং আছে। মিটিংয়ের পর তিনি জানাতে পারবেন। প্রসঙ্গত, বিশৃঙ্খলার অভিযোগে এনিয়ে কয়েকদফা স্থগিত হলো বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতা।
এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/তোহা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খেলার এক পর্যায়ে পেনাল্টির সুযোগ পায় ইতিহাস বিভাগ। রেফারির এ সিন্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মাঠ ত্যাগ করে চলে যায় ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়রা। পরে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুণরায় খেলা শুরু হয়। এরপর ফাউলের জের ধরে ইতিহাস বিভাগের আদনান (বিকেএসপি) ইংরেজি বিভাগের শুভ’র উপর চড়াও হলে ইংরেজি বিভাগ খেলা বর্জন করে মাঠ ত্যাগ করে। এসময় রেফারি ক্যাম্পাসের থানা গেইট হয়ে চলে যেতে চাইলে ইংরেজি বিভাগের খেলোয়াড়রা তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে প্রধান ফটক এলাকায় তাকে মারধর করে তারা। এসময় ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিজান, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শুভ (জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৯), ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নিশাতসহ বেশ কয়েকজন রেফারির উপর চড়াও হয়। পরে রেফারিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এদিকে, ইংরেজি বিভাগের নিশাতকে মারধর করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের খেলোয়াড়রা। এসময় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আদনান (বিকেএসপি), সাব্বির, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জিয়ন (বিকেএসপি), রমজান, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কাব্য, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ কল্লোলসহ ৭-৮জন ব্যাপক মারধর করেন। এসময় অনেকের হাতে লাঠি-সোডাও দেখা যায়। এদিকে সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করেন, খেলাধুলার মত ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলতার পরিচয় না দিয়ে বিশৃঙ্খলা করাটা হতাশাব্যঞ্জক। এক্ষেত্রে, বিকেএসপি এবং জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াদের আরো দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। এবিষয়ে ক্রীড়া ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। খেলোয়াড়দের থামাতে গিয়ে আমার কোর্টও ছিঁড়ে গেছে। খেলায় কোন দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। বিকেলে ভিসি স্যার মিটিং ডেকেছেন উভয় বিভাগের সভাপতিদের ডেকে সিন্ধান্ত নেবেন। মাঠের নিরাপত্তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটায় মিটিং আছে। মিটিংয়ের পর তিনি জানাতে পারবেন। প্রসঙ্গত, বিশৃঙ্খলার অভিযোগে এনিয়ে কয়েকদফা স্থগিত হলো বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতা।
এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ