বেরোবি উপাচার্যের মিথ্যাচার : বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লিখিতভাবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদলিপিতে শিক্ষক সমিতির নেতারা উল্লেখ করেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর এটিএন নিউজ কর্তৃক আয়োজিত “নিউজ আওয়ার এক্সট্রা” শিরোনামে টকশো প্রচারিত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নানা ধরণের অসত্য কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

 শিক্ষক নেতারা বলেন অসংখ্য জালিয়াতচক্র শত চেষ্টা করেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সুনাম যেখানে টলাতে পারেনি সেখানে উপাচার্য মহোদয় অবলীলায় ভর্তি বাণিজ্যের কালীমা লেপন করেছেন। যার মধ্য দিয়ে জাতির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ভূ-লুণ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সুনামের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মাথা উঁচু থাকে, মিথ্যাচারের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাথা চরমভাবে নীচু করা হয়েছে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিকট লজ্জিত।

শিক্ষক সমিতির নেতারা আরও উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণরুপে ঢাকায় স্থানান্তর করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থা যে যে সমস্যায় নিমজ্জিত হয়েছে তা উপাচার্য মহোদয়কে অবগত করাটা ছিল সাধারণের জন্য সময়ের দাবি।

এরই প্রক্রিয়া হিসাবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতি সর্বসম্মতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ বিবেচনাপূর্বক উপাচার্য মহোদয় বরাবর ১৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে। এই ১৮ দফার বিষয় উপাচার্য মহোদয় মিডিয়ার সম্মুখে যে তথ্য প্রদান করেছেন তা সম্পূর্ণরুপে অসত্য।

উপাচার্য মহোদয় লাগাতার ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতি, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারীতা অভিযোগকে আড়াল করতেই তিনি শিক্ষক সমিতির নামে মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে উপাচার্যের পিএ আবুল কালাম আজাদ রিসিভ করে বলেন, স্যার এখন ব্যস্ত আছেন।
 

এবিএন/ইভান চৌধুরী/জসিম/তোহা