ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে উপাচার্য সাংবাদিকদের জানান। 

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাবিতে ধর্মভিত্তিক, সাম্প্রদায়িক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয় ডাকসুতে সবাই একমত হয়েছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্রে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধা করা হচ্ছে। 

ডাকসু ভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠক হয়। 

বৈঠকে ডাকসুর এজেন্ডা অনুযায়ী বিষয়টি উত্থাপন করেন সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি গৃহীত হয়। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটে আলোচনা উত্থাপন করা হবে বলে উপাচার্য সাংবাদিকদের জানান। 

ডাকসু বৈঠকে ভিপি নুরুল হক নুর, এজিএস সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত থাকলেও জিএস ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সদ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন না। 

চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানীর পদ বাতিলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। যদিও এ বিষয়ে নুরুল হক নুর দাবি জানিয়েছেন রাব্বানীকে অপসারণের। উপাচার্যও এ বিষয়ে ডাকসুতে আলোচনা হবে জানালেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি উত্থাপন করেননি। 

জানুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচনে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনগুলো প্রশ্ন তোলে। তারা বলে, এ ঘটনা তাদের হতবাক করেছে।

সংগঠনগুলো বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করতে পারবে না বলে অলিখিতভাবে নিয়ম রয়েছে। 

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সবগুলো ছাত্র সংগঠন ও প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। যদিও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়।

এবিএন/মমিন/জসিম