আজকের শিরোনাম :

গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে বহিষ্কার নিয়ে তোলপাড়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৫১

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রী তার নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া পড়ালেখার পাশাপাশি ‘দ্য ডেইলি সান’ নামে একটি জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবেও কাজ করেন।

তিনি অভিযোগ করছেন, তাকে সম্প্রতি তার সাংবাদিকতা ও ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার সঙ্গে অশালীন শব্দ ব্যবহার করে খারাপ আচরণ করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মো. নাসিরউদ্দীন অভিযোগ করছেন, ছাত্রীটি অন্তত দুবার তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করেন।

এ ছাড়া উপাচার্যের ভাষায়, ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া আরেক ছাত্রের যোগসাজশে ‘ভিসি, প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের মহাপরিকল্পনা’ করছিল এই প্রমাণ তারা পেয়েছেন। এ কারণেই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ঘটনাটি বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

উপাচার্যের বক্তব্য, ওই শিক্ষার্থী যদি তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হবে।

কিন্তু জিনিয়া বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যেখানে অপরাধই করিনি, সেখানে কেন ক্ষমা চাইব।’

তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে নানা সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করি। এসব সংবাদের জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছে।

এসবের ধারাবাহিকতায় গত ২৪ আগস্ট একটি সংবাদের জন্য উপাচার্যের বক্তব্য নিতে গেলে, উপাচার্য একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের জের ধরে তাকে গালিগালাজ করেন বলে জিনিয়া অভিযোগ করেন।

যে ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে এই ইস্যু সেটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী হওয়া উচিত?’

তার অভিযোগ, একপর্যায়ে তার সংবাদের একজন সূত্র বা সোর্স, যিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন ছাত্র, তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যেদিন ছাত্রটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, ওইদিন রাতে তার মেসেও হামলা চালানো হয় বলে জিনিয়া অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর তিনি সাময়িক বহিষ্কারের নোটিশ পান, যেখানে কারণ হিসেবে দেখানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে একজন ছাত্রের সঙ্গে আপত্তিকর আলোচনা করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া এবং উপাচার্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা।

নোটিশে উল্লেখিত সবগুলো অভিযোগই অবশ্য অস্বীকার করেছেন ওই জিনিয়া।

উপাচার্যের বক্তব্য
ওদিকে উপাচার্য হুমকি দেয়া বা অশালীন আচরণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে ছাত্রীটি আরেকজন ছাত্রের সঙ্গে মিলে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

সেই সঙ্গে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েওই একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছিল।
খবর বিবিসি বাংলা

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ