আজকের শিরোনাম :

বেরোবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ : বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৩৬

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে হামলা করা হয়। এসময় রুমে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করেন তারা। গতকাল বুধবার (২১ শে) আগস্ট রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, ২১ আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্ত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে যান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ। সেখানে তাকে বাধা প্রদান করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইনের অনুসারীরা। এসময় তাদের মাঝে দীর্ঘক্ষন বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির মত ঘটনাও ঘটে।

এর কিছুক্ষন পর বঙ্গবন্ধু হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের কক্ষে ভাঙচুর চালায় ফয়সাল আযম ফাইন। পরে তার নেতৃত্বে শহীদ মুখতার ইলাহী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান আলীর রুমে ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি ভাঙচুর করে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, ‘ফয়সাল আযম ফাইনের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা প্রথমে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরে তারা হলের বিভিন্ন রুমে হামলা করে জাতির জনক ও তার কন্যার ছবি ভাঙচুর করে।

তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগে বিদ্রোহী গ্রুপ থাকতেই পারে। কিন্তু তারা আগস্ট মাসে ছাত্রলীগের কর্মসুচিতে বাধা দিতে পারেনা। তারা আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করতে পারে। একই সাথে আকস্মিকভাবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে হামলা করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করার মাধ্যমে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বিষয়টি অবগদ করেছি। কেন্দ্রীয় সংসদ হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছে।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, ‘যারা শোকের মাসে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে বাধা দেয় এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে তারা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী হতে পারেনা। তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফয়সাল আযম ফাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়ার রুমে কিছু বহিরাগত ইয়াবা সেবন করছিল। সেসময় আমরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে হল থেকে বের করে দিয়েছি। এরপর সভাপতির অনুসারী বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে আমার উপর দোষ চাপাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কমিটি দীর্ঘ দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ না করায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।


এবিএন/ইভান চৌধুরী/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ