আজকের শিরোনাম :

ঢাবি’র ভবনে ভবনে তালা, ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০১৯, ০৯:৫৯ | আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৯, ১০:০৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি থেকে রাজধানীর ৭ সরকারি কলেজকে বাদ দেয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটক ও ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপশি ক্লাস পরীক্ষাও বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার (২১ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।

আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিল্ডিং, কলাভবন, ব্যাবসায় অনুষদ, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। সকাল আটটার আগে এসব ভবনের তালা খুলতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর থেকে এসব ভবন এখনো তালাবদ্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ সকাল ৯টার দিকে প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মু. সামাদ তার কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের বাধায় ঢুকতে পারেননি। এ সময় প্রো-ভিসি তাদের বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একক কোনো সিদ্ধান্ত না, জাতীয় সিদ্ধান্ত। তাই কোনো কিছু করতে হলে একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেই সময় পর্যন্ত তোমরা আন্দোলন স্থগিত করো।’

এই প্রতিবেদকের সাথে কথোপকথনে শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গলার কাঁটা হিসেবে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ সেখানে অতিরিক্ত সাত কলেজের পৌনে ২ লাখ শিক্ষার্থীর দায়িত্বভার গ্রহণ অযৌক্তিক ও অনভিপ্রেত। তাই তারা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আকাশ হোসেন আবির বলেন, ‘আমরা সাত কলেজের বিরোধী না। আমরা চাই সাত কলেজে সঠিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হোক। কিন্তু সেটি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতায় থেকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। কারণ সাত কলেজ পরিচালনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথেষ্ট জনবল ও অন্যান্য সামর্থ্য নেই।’

তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া সাত কলেজের অধিভুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করে অন্যের ক্ষতি করে কোনো আন্দোলন শুভ হয় না। আমরা তাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছি। কিন্তু তারা কোনো কথায়ই শুনছে না। আলোচনা ছাড়া সমাধান হবে কি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিবেকবান। আমরা আশা করছি, তারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে।’

এর আগে পরীক্ষায় গণহারে ফেল করানোর প্রতিবাদে ও সঠিক সময়ে ফল প্রকাশের দাবিতে একাধিকবার সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি থেকে সরকারি সাত কলেজকে বাদ দেওয়ার দাবিতে ১৭ জুলাই বিক্ষোভ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ