আজকের শিরোনাম :

রাজধানীর কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০১৮, ২১:৩১ | আপডেট : ০৩ জুন ২০১৮, ১২:১৩

ঢাকা, ০২ জুন, এবিনিউজ : কবি নজরুল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সারোয়ার হোসেন জীবন নামে এক ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আজ শনিবার আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন বাবু ও তানভীর মাহমুদ ফয়সালের সাথে সারোয়ার হোসেন জীবনের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে বাবু ও ফয়সালের ২০-২৫ জন অনুসারী এসে জীবনের উপর লোহার রড, লাঠি ও স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় জীবনের সাথে থাকা ৫-৬ জন হামলা প্রতিহত কারার চেষ্টা করলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। স্ট্যাম্প ও রডের আঘাতে জীবন মারাত্মকভাবে আহত হয়। তার হাতের আঙুল ও নাক ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে। সারোয়ার হোসেন জীবন এখন রাজধানীর ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, ইমরান হোসেন বাবু কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুলের অনুসারী। অপরদিকে, সারোয়ার হোসেন জীবন বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেনের অনুসারী বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে আহত কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন জীবন এবিনিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসে আমি ও আমার ২-৩ জন ছোট ভাই আড্ডা দিচ্ছিলাম। রোজা রাখা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা-বার্তা বলছিলাম। এ সময় আমাদের পাশ দিয়ে ফয়সাল যাচ্ছিল। সে এসে এ বিষয়ে তর্ক শুরু করে দেয়। পরে সেখানে বাবু আসে।

তিনি আরো জানান, তর্কের এক পর্যায়ে ইমরান হোসেন বাবু বলেন, এই ক্যাম্পাসে আমিই বড়ো সন্ত্রাসী। যে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদের অবস্থা ভয়াবহ হবে। এ সময় বাবুর অনুসারী আরো ২০-২৫ জন এসে স্ট্যাম্প, রড ও লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। ওরা আমার মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এর আগেও বাবু আমার উপর হামলা চালিয়েছিল। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিচার চাই।

এ বিষয়ে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হোসেন এবিনিউজকে বলেন, জীবন বিশ্ববিদ্যলয় ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত কর্মী। তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় যেভাবে পেটানো হয়েছে, কোনো সভ্য মানুষ সেটা মেনে নিতে পারে না। কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আধিপত্য বিস্তারের জন্য অন্য গ্রুপের নেতা-কর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। ইমরান হোসেন বাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে ছাত্রলীগের মতো একটি মহৎ সংগঠনে পদ দিয়ে মাইনুল ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে বাবুর নেতৃত্বে মাদক সিণ্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় বিশ^বিদ্যালয়ে আমার অনুসারীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন আমরা রাজনীতি না করি তার জন্য প্রায়ই আমাকে ও আমার অনুসারীদের হুমকি প্রদান করা হয়।

তবে নিজের প্রতি আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান হোসেন বাবু এবিনিউজকে বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আমি মারামারি দেখে ঘঠনাস্থলে পৌঁছে দু’পক্ষকে আলাদা করে দিই। তবে আমি জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেয়েকে বিরক্ত করা নিয়ে এই ঝামেলা হয়েছে।

এদিকে, এ বিষয়ে যে মেয়েকে নিয়ে বাবু ঝামেলার অভিযোগ এনেছেন তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এছাড়া কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ