আজকের শিরোনাম :

জ‌বিতে নতুন ঐতি‌হ্যে’র ভিত্তি স্থাপন করার প্রতিজ্ঞা উপাচার্যের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৬

তৎকালীন জগন্নাথ ক‌লে‌জের ঐ‌তিহ্যকে স‌রি‌য়ে নতুন ঐ‌তহ্যে’র ভি‌ত্তি স্থাপন করে পুরান ঢাকার সংস্কৃতিকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ব‌লে‌ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জ‌বি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।  আজ বৃহস্প‌তিবার  দু’দিনব্যাপী ‘তৃতীয় সংগীত উৎসব এর শেষ দি‌নের অনুষ্ঠানে প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে এসব কথা ব‌লেন তি‌নি।

‌তি‌নি অা‌রো ব‌লেন, গান শু‌নে লাফা‌নোর সংস্কৃ‌তি থে‌কে কিছু শেখা যা‌বে না। গান বুঝ‌তে হ‌বে। গা‌নের প্র‌তি মমত্ব‌বোধ থাকতে হ‌বে। সংগী‌তের রাগ, সুর, তাল, লয় বুঝ‌তে হ‌বে।  শুদ্ধ সংস্কৃ‌তিক চর্চা কর‌তে হ‌বে।

এ সময় জগন্নাথের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন,জগন্না‌থে স্কুল ক‌লে‌জের যে ঐ‌তিহ্য সেটা দালান ছাড়া আর কিছু ছিল না। অামা‌দের বিশ্ব‌বিদ্যালয় ২০০৫ সা‌লে প্র‌তি‌ষ্ঠিত হ‌লেও মূলত ২০১১ সা‌লে নতুন ক‌রে বিশ্ব‌বিদ্যালয় হি‌সে‌বে যাত্রা ক‌রে। অতি অল্প সম‌য়ে আমরা এই বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের একটা কালচা‌রে প্র‌বেশ কর‌ছি। জগন্না‌থের অ‌তীতের ঐ‌তিহ্যর সা‌থে মা‌ঝের ত্রিশ বছ‌রে কোন মিল পুরান ঢাকায় বিউ‌টি বোডিং সহ সব কিছু ই আ‌ছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন ঢাকা এ‌সে‌ছি‌লেন তখন এই  পুরান ঢাকায় এ‌সে‌ছিলেন। পুরান ঢাকার নিজ সংস্কৃ‌তি থে‌কে বে‌র হ‌য়ে যা‌চ্ছিল কিন্তু আমরা জগন্নাথ বিশ্ব‌বিদ্যালয় পুরান ঢাকায় ঐতিহ্য ধ‌রে রাখার চেষ্টা কর‌ছি।

এছাড়া একাডেমিক কার্যক্রমের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তিনি আরো বলেন, “দেশ-বিদেশে অনেক জায়গায় সভ্য জাতিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের সভ্যতার পরিচয় বহন করে। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে গত কয়েক বছর ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনঃআবির্ভাব সফলতার সাথে শুরু হয়েছে।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন সকাল ১১টায় সংগীত বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত রায়। এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছি‌লেন  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) এর প্রাক্তন অধ্যাপক ড. আ বা ম নুরুল আনোয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সমাপনী দিনে বেলা ১২:৩০টায় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ও রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী মিতা হককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর ৩ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন দেশ বরেণ্য শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সুবীর নন্দী, কিরণ চন্দ্র রায়, লাইসা আহমেদ লিসা, মোহাম্মদ শোয়েব, রাজরূপা চৌধুরী (সরোদ), স্বাগতা মুখার্জী (শাস্ত্রীয়সংগীত, ভারত), সুপ্রিয়া দাশ (শাস্ত্রীয় সংগীত), বিট্টু নৃত্যগোষ্ঠী (ভারত), শুষেণ রায় (তবলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের পরিবেশনা।

এবিএন/মোস্তাকিম ফারুকী/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ