আজকের শিরোনাম :

ইবির বাংলা বিভাগে ‘শিক্ষাবান্ধব বৃত্তি’ চালু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯, ১৯:০০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগে অধ্যাপক ড. হাবিব আর রহমান শিক্ষাবান্ধব বৃত্তি চালু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসস্থ আ¤্রকাননের বাংলা মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে এই শিক্ষাবৃত্তি যাত্রা শুরু করে।

জানা যায়, বিভাগীয় প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানের (হাবিব আর রহমান) অর্থায়নে ও বাংলা বিভাগের পৃষ্টপোষকতায় এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়। এই বৃত্তির আওতায় বাংলা বিভাগে অধ্যয়নরত ¯œাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীদের প্রতিবছর বৃত্তি প্রদান করা হবে।

বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা এবং শিক্ষাবৃত্তির উদ্যোক্তা ও বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হাবিব আর রহমান। সহযোগী অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. রহমান হাবিব, অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, অধ্যাপক ড. শেখ রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফা আক্তার, ড. বাকী বিল্লাহ, ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, ইবির বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর হাইদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্মান চতুর্থ বর্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় দুই শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মোছাঃ শিলা খাতুন (সিজিপিএ ৩.৬২) ও মোঃ সোহেল রানা (৩.৫৮)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী তাদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন। প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ১০ হাজার এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

অধ্যাপক ড. হাবিব আর রহমান বলেন, আমার পেনশনের টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রেখেছি। এই টাকার লভ্যাংশ দিয়েই প্রতিবছর বৃত্তির টাকা প্রদান করা হবে। প্রথম স্থান অর্জনকারী মোট লভ্যাংশের ৬০ শতাংশ ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মোট লভ্যাংশের ৪০ শতাংশ অর্থ পাবে। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমি অনেক ঋণী। এখন সময় ঋণ শোধাবার। তাই এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমার এই উদ্যোগ থেকে যদি কেউ অনুপ্রাণিত হয় তবেই বুবং, আমার এই প্রয়াস ইতিহাস হয়েছে। এছাড়া তিনি তার ব্যক্তিগত সংগ্রহের দুর্লভ কিছু বই মরনোত্তর বাংলা বিভাগের সেমিনারে উইল করে যান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, অনুষদ ভবনে বাংলা এবং ইংরেজি বিভাগ পাশাপাশি থাকায় হাবিব (হাবিব আর রহমান) ভাইকে আমি দেখেছি বইয়ের মধ্যে নাক চুবিয়ে, মুখ ডুবিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে। তাঁর এই জ্ঞান আহরণ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। প্রফেসর হাবিব তাঁর জ্ঞান থেকে আজ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা শুধু বাংলা বিভাগের জন্য নয়, এটি এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের জন্যও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।


এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ