আজকের শিরোনাম :

ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগের অবস্থান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯, ১১:২৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ফল কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের (ভিসি)  বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। 

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে প্রথমে ছাত্রলীগের কর্মীরা ভিসির বাড়ির সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন। পরে তারা সেখানে রাস্তার ওপরে  অবস্থান নেন।  ভিসির বাসভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়   থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসের কয়েকটি জায়গায় রাস্তার ওপরে বিচ্ছিন্নভাবে টায়ার জালিয়ে প্রতিবাদ জানায় ছাত্রলীগ।

এদিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সোমবার ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা আজ মঙ্গলবার ঢাবিতে ছাত্র ধর্মঘট আহ্বান করেছিল। 

সরেজমিন দেখা গেছে, ধর্মঘট নয় ,ক্লাস বর্জন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশের মুখে প্রতিটি গেট  বন্ধ করে দিয়ে গাড়ি ও সাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

ভিপি পদে বিজয়ী হিসেবে নুরুল হকের নাম ঘোষণার পর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রলীগ। রাতে ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনের চারপাশে বিক্ষোভ করতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপাচার্য অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে তিনি বাসায় ফিরে যান।

ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর ভাষ্য, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মভিত্তিক দল বা শিবিরের রাজনীতি থেকে মুক্ত। নুরুল হক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নুরুলকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আমাদের সংগঠনসহ সাধারণ অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছে। রাতেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবেই শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের উৎসাহ ও আনন্দ ভোটের দিনে বেশ কিছু অনিয়মের কারণে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ বাদে প্রায় সব প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ফল ঘোষণা নিয়েও গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত রাত সোয়া ৩টায় ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ভোট বর্জন করেও সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল হক। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। ডাকসুর মোট ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই ছাত্রলীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

১৮টি হল সংসদের মধ্যে ১২টিতে ভিপি পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। বাকি ছয়টি হলে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ছাত্রদের হলে ছাত্রলীগ প্রায় একচেটিয়া জয় পেলেও ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে তারা।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ