আজকের শিরোনাম :

ভোটের সময় বৃদ্ধির পক্ষে ছাত্রলীগ ছাড়া সবাই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০১৯, ১০:২৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল বাদে অন্য সব প্রার্থী সময় বাড়ানোর দাবিতে একাট্টা হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ করতে হলে আরো দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় বাড়ানো দরকার। কিন্তু প্রার্থীদের এই দাবির সঙ্গে একমত নয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবার মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। যদিও তারা নিজ নিজ হলে ভোট দেবে, কিন্তু একজন ভোটারকে মোট ৩৮টি ভোট দিতে হবে। ফলে ২টার মধ্যে ভোট শেষ করতে পারা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগে আছেন।

জানতে চাইলে ডাকসু নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, কোন হলে কতটি বুথ হবে সেটি নিয়ে আমরা বসেছি। তবে শেষ করতে পারিনি। সম্পূর্ণ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

নির্বাচন আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

সময় বৃদ্ধির পক্ষে যাঁরা তাঁদের যুক্তি হচ্ছে—প্রতি মিনিটে ১১৯ ভোট গ্রহণ করতে হবে। স্বল্প সময়ে এত ভোট গ্রহণ করার জন্য বিপুলসংখ্যক বুথ প্রয়োজন। কিন্তু নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো বুথের সংখ্যা জানাচ্ছে না।

জানা যায়, অমর একুশে হলে এক হাজার ৩৪০, শহীদুল্লাহ হলে দুই হাজার ৪১, ফজলুল হক মুসলিম হলে দুই হাজার ৭০, স্যার এফ রহমান হলে এক হাজার ৮৩১, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে দুই হাজার ২৬০, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে এক হাজার ৯৮২, সূর্য সেন হলে দুই হাজার ১৭০, বিজয় একাত্তর হলে তিন হাজার ১৫৩, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে দুই হাজার ২৫৭, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এক হাজার ৭৯৬, কবি জসীমউদ্দীন হলে এক হাজার ৬৩৮, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে এক হাজার ৮০১ এবং জগন্নাথ হলে দুই হাজার ৪৪৩ জন ভোটার রয়েছে। মেয়েদের হলগুলোর মধ্যে কবি সুফিয়া কামাল হলে তিন হাজার ৭১০, কুয়েত-মৈত্রী হলে এক হাজার ৯২০, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে দুই হাজার ২৪৪, রোকেয়া হলে চার হাজার ৫৩০ এবং শামসুন্নাহার হলে তিন হাজার ৭৩৭ জন ভোটার রয়েছে।

ছাত্রলীগ সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, সময় নির্ধারণের এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তারা যে সময় নির্ধারণ করবে সেটাকেই আমরা স্বাগত জানাব।

তবে ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আনিছুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ভোটগ্রহণের যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তা কোনোমতেই যথেষ্ট নয়। এই সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই ভোট দেওয়া সম্ভব নয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বাড়ানোর। ১০০ শিক্ষার্থী অনুপাতে একটা বুথ স্থাপন করতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের মনোনীত এজিএস প্রার্থী সাদেকুল ইসলাম সাদিক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ভোট দিতে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট লাগবে। এ জন্য আমরা ভোটগ্রহণের সময় ৬টা পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছি। তবে প্রশাসন তাদের নীলনকশা অনুযায়ী নির্বাচন সাজানোর পরিকল্পনা করছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

এই বিভাগের আরো সংবাদ