আজকের শিরোনাম :

এসআইইউতে ভিসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৩

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এসআইইউ) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) নিয়োগের জন্য সম্মতিপত্র প্রদান করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এ সংক্রান্ত একটি পত্র হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড আব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামিম আহমদ।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসির পদ শূন্য রয়েছে। প্রায় সবকটি প্রশাসনিক পদের কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে। কিছুদিন পূর্বে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নামে ২ একর জায়গা দান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরে ট্রাস্টবোর্ডের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টিবোর্ড নিয়েও রয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। যা আদালতে বিচারাধীন। তবে মামলা থাকলেও ভিসি নিয়োগে আর কোন বাধাঁ থাকল না। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টবোর্ডের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ বলেন, আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। 

গতকাল মঙ্গলবার মহামান্য চ্যান্সেলর (রাষ্ট্রপতি) কতৃক ভিসি নিযোগের জন্য একটি পত্র পেয়েছি। কবে নাগাদ ভিসি জয়েন করতে পারেন। এমন এক পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবেমাত্র পত্র পেয়েছি, প্রক্রিয়া চলছে। তবে আমরা আশাবাদী দ্রুত ভিসি নিয়োগর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। এ ব্যাপরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

ভিসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি কতৃক প্রেরিত পত্রের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডর মালিকানা নিয়ে দ্ব›ন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করা একটি আবেদন পত্রের প্রেক্ষিতে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ভবিৎষতের কথা বিবেচনা করে চ্যান্সেলর মহামান্য (রাষ্ট্রপতি) ভিসি নিয়োগে প্রত্র দিয়েছেন।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান ও মামলার অন্যতম কৌশলী হুমায়ূন কবীর জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টিবোর্ডর মালিকানা নিয়ে একটি মামলা রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে আদালত শামীম আহমদকে বৈধ মালিক বলে পত্র দিয়েছে। তিনি বলেন আইন তার গতিতে চলবে। তবে ভিসি নিয়োগে আর কোন বাাঁধা থাকল বলেও জানান এই আইনজীবী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক স্থবিরতা নিরসনে সকলের সহযোগিতা কমনা করে বলেন শিক্ষার মানোন্নয়নে অচিরেই সকল শূন্যপদ, ডীন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া চালু হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র ভর্তিতে সতর্কতা জারি করলে প্রক্টর, ট্রেজারার ও কনভোকেশন সহ সকল প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনের দাবিতে ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলনে নামে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিলে তারা ক্লাসে ফিরে যায়। 

এবিএন/মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ