জবিতে প্রেমঘটিত কারণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রেমঘটিত কারণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এছাড়া দু’পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছে। একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে তারা।

আজ রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এ সংঘর্ষ চলছে।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, প্রেমঘটিত কারণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মী তুহিনকে মারধর করেন সভাপতি পক্ষের কর্মীরা। পরে সম্পাদকের কর্মীরা একত্রিত হয়ে সভাপতি পক্ষের কর্মী নয়ন ও রিফাতকে মারধর করে। এর জের ধরে আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষের কর্মীরা ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে। আর সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের কাছে অবস্থান নিয়েছে। মাঝেমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

সাধারন শিক্ষার্থী অতিষ্ঠ এমন পরিস্থিতিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ছোট এই ক্যাম্পাসে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্ত পরিবেশে মুক্তভাবে বিচরণ করতে চাই। কিন্তু ক্ষমতাশালী দলের নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, এখন আমাদের ক্লাস করার সময়, কিন্তু ক্যাম্পাসের এমন মারমুখী অবস্থায় প্রবেশ করতে পারছিনা আমরা ভেতরে। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই তাই বলে প্রতিহিংসা মোটেই কাম্য নয় তাও আবার নিজ দলের মধ্যেই। এটা কোন রাজনৈতিক চর্চা হতে পারে না। মুক্তি চাই এমন ভংকর পরিস্থিতি থেকে, ছোট এই ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু পরিবেশে পড়ালেখা করতে চাই।

এ বিষয়ে জানতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলকে ফোন করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

 অপরদিকে জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ কে ফোন দেওয়া হলে তিনি কলটি কেটে দেন।

এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি বলেও জানান তিনি।

এবিএন/মোস্তাকিম ফারুকী/জসিম/তোহা