আজকের শিরোনাম :

জকসু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন এবং ক্যান্টিনে ন্যায্যমূল্যে খাবারের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে গতকাল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। 

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বির পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সভাপতি কিশোর কুমার সরকার এবং সহ-সভাপতি প্রসেনজিত সরকার , দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কৌশিক আহমেদ। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু করার পরে ১৩টি বছর পার হয়ে গেছে। এই সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবার শিক্ষক এবং কর্মচারীদের নির্বাচনের আয়োজন করলেও কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে ছাত্র সংসদের বিধান নেই এমন অজুহাত তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন আয়োজন করা থেকে বিরত থেকেছে । 

মূলত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটে ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্থ করা ; সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহে বিশ্বাবদ্যালয়ের ছাত্রদের মতামত প্রতিফলনের পথকে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত যাবতীয় ছাত্র স্বার্থবিরোধী, অন্যায়, অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ছাত্রদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (জকসু)-র নির্বাচন আয়োজনে প্রশাসনের এই অনাগ্রহ। 

উল্লেখ্য, নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অগণতান্ত্রিকভাবে মিডটার্মে অনুপস্থিতি-ফি, মাস্টার্স কোর্সে থিসিসে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা সংকোচন, বিভাগ উন্নয়ন ফি-এর মত অযৌক্তিক এবং অন্যায় সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিতে পেরেছে। 

তা ছাড়া নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি না থাকার সুযোগেই প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে জবাবদিহিতার জায়গাগুলোকে এড়িয়ে যেতে পেরেছে বারবার। 

যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজে ৭ কোটি টাকা দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য। 

বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিনে স্বল্পমূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না; দেয়া হচ্ছে না কোন প্রকার ভর্তুকি। 

অতি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যান্টিনের খাবারের জন্য অত্যন্ত চড়া একটি মূল্য তালিকা প্রণয়ন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর এত টাকা দিয়ে খাবার কিনে খাবার সামর্থ্য নেই। 

সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক এবং অন্যায় এই মূল্য তালিকা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিন চলতে পারে না। 

সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাাদেশ সংশোধন করে জকসু নির্বাচন আয়োজনের এবং ভর্তুকি প্রদান ও মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ও ন্যায্য মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। 

দাবিসমূহ পূরণে কোনরকম তালবাহানা করা হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন বক্তারা।

এবিএন/মোস্তাকিম ফারুকী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ