আজকের শিরোনাম :

মুসলিম বিশ্ব পিছিয়ে তিনটি কারণে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:১২

‘মুসলিম বিশ্ব আজ পিছিয়ে আছে তিনটি কারণে। তা হলো অজ্ঞতা, দারিদ্রতা ও অন্ত:কোন্দল। সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৯টি দেশের অংশগ্রহণে ‘গ্লোবাল পিস এন্ড হারমনি : দি রিসালা-ই নূও পারসপেকটিভ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খ্রিষ্টান ধর্মের লোকজন একে অপরকে হত্যা করেছিল। বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি দেশেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এক অপরকে হত্যা করছে। এমনকি মুসলিম বিশ্বে একে অপরের সাথে ভাতৃত্বের বন্ধনকে ভুলে গিয়ে শত্রুতে পরিণত হচ্ছে।’

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পৃথিবী পরিচালিত হয় শিক্ষার দ্বারা। মানুষ যেটা বর্জন করে সেটা হলো পরিত্যাক্ত আর যেটা গ্রহন করে সেটা শিক্ষা। আজকের এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য যেন এখানেই শেষ না হয়। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই শিক্ষা সর্বদায় তোমাদের বহন করতে হবে।’

জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ ও তুরস্কের ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা-পরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ফ ম আকবর হোসাইন, ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের পরিচালক সালাউদ্দিন সাঈদি, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ, থিওলজি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিবৃন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ ও আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের উসকুদাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলফারসলাম আচিকগেন্স।

উপাচার্যের বক্তব্যে  ড. রাশিদ আসকারী বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় শান্তি, ঐক্য ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। ‘যদি কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়, তবে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা হয়।’ এমন বার্তা যে পবিত্র গ্রন্থে আছে সেই গ্রন্থটি বিশে^ মানবজাতির কল্যাণ ও শান্তির জন্য কার্যকরী। ধর্মীয় জ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞানের সমন্বয়ে যে শিক্ষা তা মানবজাতির শান্তি এবং সম্প্রীতি রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে পারে।

সম্মেলন ভারত, তুরস্ক, জর্ডান, সৌদিআরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন ৮টি সেশনে ৭১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এতে ৩৮টি ইংরেজি এবং ৩৩টি আরবি প্রবন্ধ পাঠ করা হবে।

অনুষ্ঠান শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও তুরস্কের ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশনের মধ্যে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে দু’দিনব্যাপী এ সেমিনারের সমাপ্তি হবে।

 

এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ