আজকের শিরোনাম :

জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কাল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (২৯ জানুয়ারি)। 

নির্বাচনে বরাবরের মতো এবারো উৎবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। 

আজ ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে দেখা যাচ্ছে শিক্ষকদের আনাগোনা। বিশেষ করে তরুণদের প্রজন্মের শিক্ষদের নিয়ে গঠিত দীপিকা-নূর প্যানেলের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

নীল দলের দীপিকা নূর প্যানেলের সম্পাদক পদ প্রাথী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা জয়লাভ করলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মানসম্মত আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও শিক্ষকদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করব।’ 

সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে যোগ্য নাগরিক গড়ার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করব জবিতে। জবির পড়াশোনার ক্ষেত্রে বর্তমান  সফলতা ধরে রাখতে এবং ভবিষ্যতে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করবে আমাদের প্যানেল। 

তিনি আরো বলেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে যাতে আরো বেশী সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়তে পারে সেই ব্যবস্থা করব। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সাব্জেক্ট ভিত্তিক বইয়ের সংখ্যা বাড়াব এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরিতে কাজ করব। ছাত্রছাত্রীদের সকল সমস্যা সমাধানে এবং ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধিতে সর্বোচ্চ সহায়তা করব। 


দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এ নির্বাচনে বরাবরই বাড়তি নজর রাখে রাজনৈতিক দলগুলো। 

এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। 
ইতোমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে নিজ নিজ প্যানেল নিয়ে ভোটারদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। 

নির্বাচিত হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি এবং ইতোমধ্যে নেওয়া পদক্ষেপ ভোটারদের সামনে তুলে ধরে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ভোট চাচ্ছে আওয়ামীপšী’ শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

সাদা দল নির্বাচনে না আসায় তাদের তালিকাভুক্ত ১০৯টি ভোট এবার নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ণায়ক হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

কারণ, সুবিধা আদায়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে তারা একযোগে একটি প্যানেল বেছে নিতে পারেন। সাদা দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও ভোট দেবে। 

আওয়ামী লীগপন্থী দুই দলের মধ্যে যারা যোগ্য এবং শিক্ষকদের জন্য কাজ করবে তাদেরকেই ভোট দিবে তারা।

নির্বাচনে নীল দলের একাংশের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুল আলীম। 

অপর অংশের সভাপতি প্রার্থী দীপিকা রানী সরকার ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নূর মোহাম্মদ।

শীর্ষ দুটি পদ ছাড়াও সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদে একজন করে এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ১০ জনসহ মোট ১৫টি পদে এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। 

মঙ্গলবার শিক্ষকরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।

দীপিকা-নূর প্যানেলের সভাপতি হিসেবে আছে অধ্যাপক দীপিকা রাণী সরকার, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড.নূর মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি হিসেবে লড়ছে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আছে অধ্যাপক আব্দুল মাহফুজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শামসুল কবির। 

এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন মনিরুজ্জামান খন্দকার, গোলাম মস্তুফা, মনিরা জাহান, আব্দুস সামাদ,নিয়াজ আলমগীর, রাবিতা সাবাহ, মোবারক হোসেন, রিতু কুন্ডু, মাসুদ রানা, মাফতাহুল হাসান।

জাকারিয়া ও আব্দুল আলীম প্যানেলের সভাপতি হিসেবে আছেন, ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, সহ-সভাপতি রবিন্দ্র নাথ মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের।  

সদস্য হিসেবে আছেন ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, আইনুল ইসলাম, সৈয়দ আলম, মনিরুজ্জামান, লুৎফুর রহমান, কামাল হোসেন, সিদ্ধার্থ ভৌমিক, গৌতম কুমার সাহা, আব্দুল আওয়াল।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সুরঞ্জন কুমার দাস বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ, শিক্ষক সমিতির কার্যনিবাহী ২০১৯-এর নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।’

নীলদলের অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল আলীম বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শক্তি। 

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও শিক্ষকদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য কাজ করে যাব।

এবিএন/মোস্তাকিম ফারুকী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ