আজকের শিরোনাম :

‘সময়োপযোগী আধুনিক ও উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করবে সরকার’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৩০

শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। আগামী দিনের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী আধুনিক ও উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করাই হবে সরকারের কাজ।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি এ সময় ৮ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন এক সেট করে বই তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে রাজধানীর ২৬টি স্কুলের ৭ হাজার শিক্ষার্থী ও ৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসব শিক্ষার্থীরা নানা রঙের ক্যাপ পরে হাতে জরির ফিতা নিয়ে উড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নতুন বই পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা তারা। শিক্ষকরাও তাদের এ আনন্দে শামিল হয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ অনুকরণীয়। আজ বিশ্বের সব জাতির কাছে আমরা রোল মডেল। আমাদের এ অগ্রগতি কেউ থামাতে পারবে না। আমরা একসময় বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হব।

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের জন্য আনন্দের দিন, একটি ইতিহাস সৃষ্টির দিন। বিনামূল্যে এতো বই বিতরণের উদাহরণ আর কোথাও নেই। আমরাই এতে সফল হয়েছি।

তিনি বলেন, প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেই। ২০১০ সালের পর একবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। স্বাধীন দেশ বলে এটা সম্ভব হয়েছে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের গৌরব স্বাধীন বাংলাদেশ। আর এর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার নেতৃত্ব দেবে তরুণ প্রজন্ম। এর জন্য আমাদের শিক্ষার গুণগত মানকে বিশ্বমানে পৌঁছাতে হবে।  আজকের এ তরুণ প্রজন্মই এ দেশকে বিশ্ব দরবারে উঁচু করে তুলে ধরবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মের জন্য সবকিছু উজাড় করে দেব। আমাদের এ প্রজন্ম কোনো অংশেই বিশ্বের কোনো অংশ থেকে পিছিয়ে নেই। আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর একটা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে পেরেছি।

আমরা দুনিয়ায় একমাত্র দেশ যে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরেছি। আমরা কাউকে পেছনে ফেলে যাব না। সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। সব ছেলে-মেয়েকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আজকে ছেলে-মেয়ে সমতা আনতে পেরেছি। মাধ্যমিকে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে গেছে।

আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে চাই। একই সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন খাঁটি মানুষ তৈরি করতে চাই। আমরা সমস্ত শ্রম মেধা দিয়ে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলব।

উৎসবে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ