আজকের শিরোনাম :

শিবির নেতা ছোট ভাইয়ের নিয়োগ বোর্ডে বড় ভাই!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:২২

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ক্যাম্পাস কাপানো শিবির নেতা ও আপন ছোট ভাইয়ের নিয়োগ বোর্ডে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবি ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরফিন। গত ২৯ অক্টোবর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের (জাককানইবি) মানব সম্পদ ও ব্যপস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রদানের সময় এ ঘটনা ঘটে। তার এ ধরণের নৈতিকতা বিরোধী কাজের জন্য ইবি উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছে জাককানইবি প্রশাসন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে (গত ২৯ অক্টোবর) প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বাছাই বোর্ডে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিন বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উক্ত নিয়োগ বোর্ডে নির্বাচনী পরীক্ষায় তার আপন ছোট ভাই ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।


নিয়োগ পরীক্ষার প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী তিনি তার ভাইয়ের বিষয়টি আগে থেকে না জানিয়ে ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যিালয়ের (গত ৮ ডিসেম্বর) ৬২তম সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হলে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিনকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিষয়টিকে গর্হিত অন্যায় ও নৈতিকতাবিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাসুদ রানা তার স্ত্রী প্রার্থী থাকার কারণে সেটি আগে থেকেই লিখিতভাবে ঘোষণা দেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিনের আপন ভাই এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন যা তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে’র মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন দাখিল করেন।

তবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিনের ভাই নিয়োগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়ায় উক্ত বাছাই বোডের সুপারিশ বাতিল করা হয়নি। কিন্তু প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিনের এ ধরনের কাজের জন্য তাকে নিয়োগ বাছাই বোর্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ধরনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে তার আপন ছোট ভাইয়ের বিষয়টি না জানিয়ে গোপন রাখেন, যেটা অন্যায় ও নৈতিকতাবিরোধী কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ বাছাই বোর্ড থেকে তাকে অব্যাহতি এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমি এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চিঠি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, যা আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। আমি প্রশাসনের  কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

 এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ