আজকের শিরোনাম :

ইবির ‘বি’ ইউনিটের রেজাল্টে জগাখিচুড়ি, ২৫ পয়েন্ট পেয়েও মেরিটে!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৫২ | আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:১৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে।  এতে ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ০.২৫, ১ এবং ১.৫ নম্বর পেয়েও মেরিটে (মেধাতালিকায়) নাম এসছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর।

তবে ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান বলছেন, ‘এটি ভর্তি কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিন্ধান্তেই হয়েছে। এক্ষেত্রে যারা লিখিত পরীক্ষায় বেশি পেয়েছে গ্রাজুয়ালি তাদেরকে মেধাক্রমে প্রথম দিকে রাখা হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলছেন, ‘কোন ভুল করা হয়নি। আমরা ভর্তি নির্দেশিকার শর্ত পালন করেছি। তারপর সেটা কাভার না হওয়ায় শর্ত শিথিল করে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ‘লিখিত পরীক্ষা’র ওপর। মূল্যায়নে একটা স্ট্যান্ডার্ন্ড তৈরী করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে যে শিক্ষার্থী ইংরেজিতে কিংবা বাংলায় কম পেয়েছে কিন্তু অন্য বিষয়গুলোর শর্ত পূরণ করেছে, সে ইংরেজি বা বাংলা পাবে না, তবে অন্য সাবজেক্ট পাবে।’

সূত্র জানায়, গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২১ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে এবং ১৮ হাজার ৮১১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ব্যাপক ফল বিপর্যয়ের কারণে শর্ত শিথিল করে কর্তৃপক্ষ এবং ২০.২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে পাশ করায়। তবে শিথিল শর্ত অনুযায়ী মেধাক্রম করতে গিয়েই জগাখিচুড়ি অবস্থার সৃষ্টি হয়।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১ম শিফটে ০০৬৭৪ রোলধারী শিক্ষার্থী বাংলায় ০.২৫ পেয়েও ৩০৮তম এবং ০০৬৬৯ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থী সাধারণ জ্ঞানে ১.৫ পেয়েও ৭৯তম মেধাস্থান পেয়েছে। এছাড়া ২য় শিফটে ০৯২৭০ রোলধারী শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ১ পেয়েও ২৫৮তম মেধাস্থান পেয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ইউনিট সমন্বয় কমিটি, কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও ছাড় পাবার সংস্কৃতির কারণে প্রতিবারই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদেও ভোগান্তিতে ফেলে। চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের ওএমআর সিটে অসঙ্গতি, ‘বি’ ইউনিটের ফল অসঙ্গতি ছাড়াও ইতোপূর্বেও বড় বড় অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে। কিন্তু কোন প্রতিকারই যেন নেই!

প্রসঙ্গত, চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সাথে লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতিও চালু করা হয়। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বর নির্ধারিত করা হয়। এতে ২০ নম্বরের লিখিত এবং ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী অংশ রাখা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের উপর (২০+২০)=৪০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়।

এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ