আজকের শিরোনাম :

ইবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু রবিবার : থাকছে লিখিত পদ্ধতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:১১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার (৪ঠা নভেম্বর)। চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এবছর প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দিতা করবে ২২ জন শিক্ষার্থী। তবে মূল আকর্ষণ হলো প্রথমবারের মত যুক্ত হওয়া ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় ৩৩টি বিভাগে ২২৭৫ টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৪৮ হাজার ৭১৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ২৪০টি আসনের বিপরীতে ১৯৯৬ জন; ‘বি’ ইউনিটে ১০৩৫টি আসনের বিপরীতে ২১২০৮ জন; ‘সি’ ইউনিটে ৪৫০টি আসনের বিপরীতে ৭১৪৭ জন এবং ‘ডি’ ইউনিটে ৫৫০টি আসনের বিপরীতে ১৮,৩৬৮জন, শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় রেখে এবছর ৮ ইউনিটের পরিবর্তে ৪ ইউনিটে এ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ফলে ২দিনে পরীক্ষা শেষ হবে।

প্রতিদিন ৪ শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১ম শিফট সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা, দ্বিতীয় শিফট বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা, তৃতীয় শিফট দুপুর ২টা থেকে ৩টা এবং চতুর্থ শিফট বিকাল ৪টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত।

পরীক্ষার প্রথম দিন (৪ নভেম্বর) ১ম শিফটে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদভূক্ত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন দ্বিতীয় শিফটে ‘মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান’ অনুষদ এবং ‘আইন ও শরিয়াহ’ অনুষদভূক্ত ‘বি’ ইউনিটের রোল ০০০০১ থেকে ০৭১৫৫, তৃতীয় শিফটে ০৭১৫৬ থেকে ১৪৩১০ এবং চতুর্থ শিফটে রোল ১৪৩১১ থেকে অবশিষ্টদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন (৫ নভেম্বর) ১ম শিফটে ‘ব্যবসায় প্রশাসন’ অনুষদভূক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন দ্বিতীয় শিফটে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের রোল ০০০০১ থেকে ০৭১৫৫, তৃতীয় শিফটে রোল ০৭১৫৫ থেকে ১৪৩১০ এবং চতুর্থ শিফটে রোল ১৪৩১১ থেকে অবশিষ্টদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিন্ধান্ত অনুযায়ী এবছর ১২০ নম্বরের পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে ৬০ ও লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ২০ নম্বর। এছাড়া এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ভিত্তিতে থাকবে (২০+২০=৪০) নম্বর। উল্লেখ্য, এমসিকিউ অংশে নেগেটিভ মার্কস থাকলেও লিখিত অংশে কোন নেগেটিভ মার্কস থাকবে না। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট (িি.িরঁ.ধপ.নফ) থেকে জানা যাবে।

পরীক্ষা প্রস্তুতির সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন এনেছি। প্রথমবারের মত লিখিত পরীক্ষা সংযোজন এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ইউনিট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া শতভাগ নকলমুক্ত, সুন্দর এবং সুষ্ঠু পরিবেশে সর্বোচ্চ মেধাবীদের ক্যাম্পাসে আগমন নিশ্চিত করতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ