আজকের শিরোনাম :

আইইউএএসএ’র ইবি শাখার নতুন কমিটি

‘মধ্যপ্রাচ্যে রেমিটেন্স আয়ে দক্ষ জনবলের অভাব নেই, অভাব শুধু যোগাযোগের’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৩৫

মধ্যপ্রাচ্যে আরবীতে দক্ষ জনবল পাঠিয়ে রেমিটেন্সে নতুন মাত্রা যোগ করা সম্ভব। দেশে আরবী ভাষায় দক্ষ জনবলের অভাব নেই।  অভাব শুধু আরবদেশগুলোর সাথে যোগাযোগের।  বাংলাদেশ সরকার চাইলেই সেখানে দক্ষ জনবল পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রভাব লক্ষণীয় মাত্রায় বৃদ্ধি করতে পারবে।  এ জন্য সরকারকে অতিরিক্ত সময় বা অর্থ কোনটিই ব্যয় করতে হবে না। কারণ ইতোমধ্যে দেশে অনেক আরবী ভাষা দক্ষ গ্রাজুয়েট রয়েছে।’  

ইন্টার ইউনিভার্সিটি এ্যারাবিক স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন’ (আইইউএএসএ)এর ইবি শাখার নতুন কমিটির সভাপতি সাইফুল্লাহ হিমেল এসব কথা বলেন।

কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুস্তাইন বিল্লাহ সাকীকে মনোনীত করা হয়েছে। সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত আইইউএএসএ। সংগঠনটির একটি কেন্দ্রীয় কমিটি রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে আইইউএএসএ-এর কমিটি।

বাংলাদেশে আরবী ভাষা চর্চা এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ আরব বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ এবং আরবী ভাষায় পারদর্শী লোকবল সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে নব্যতা সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে অবদান রাখাই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য।

নতুন সভাপতি সাইফুল্লাহ হিমেল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, আরবী একটি বিশেষ ধর্মীয় ভাষা। আসলে তা নয়। এই সংগঠন মনে করে, আরবী ইংরেজির মতই বিশ্বে প্রচলিত একটি ভাষা। বিশ্ব অর্থনীতিতে আরবীর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। চীন, ভারতসহ ইউরোপের অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের আরবী ভাষায় পারদর্শী কওে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। মধ্যপাচ্যের দেশগুলোতে তারা দক্ষ লোকবল সরবরাহ করে বড় অংকের রেমিটেন্স আয় করছে। অন্যদিকে আমাদের দেশ থেকে অদক্ষ লোকবল পাঠানো হয়। তারা মাঠপর্যায়ের শ্রমিক হিসাবে কাজ করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘চীন-ভারত অমুসলিম প্রধান দেশ হয়েও মধ্যপ্রাচ্যে আরবী ভাষায় দক্ষ লোকবলের চাহিদার বিষয়টি উপলব্ধি করেছে। তাই তারা আরবী ভাষা শিক্ষায় রাষ্ট্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। অন্য দিকে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ার পরেও এদেশে আরবী ভাষায় শিক্ষিত লোকবলকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ রাষ্ট্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিলে আরব বিশ্বে দক্ষ জনবল পাঠিয়ে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে অনেকগুণ প্রভাব ফেলা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’ তিনি আশান্বিত হয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করবে। আরব দেশগুলোর দূতাবাসের সাথে কথা বলে সেসব দেশে বাংলাদেশে থেকে দক্ষ জনবল পাঠানোর উদ্যোগ নিবেন।’

নতুন কমিটিতে ইমরান শুভ্র ও মিজানুর রহমানকে সহ-সভাপতি, খালিদ হাসানকে সহকারী সেক্রেটারী মনোনীত করা হয়। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ওয়ালীউল্লাহ, অর্থ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম, সহকারী অর্থ-সম্পাদক পদে আতিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে আশিক বনি, আইটি সম্পাদক পদে আবু সা’দ নোমান, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে সুমাইয়া সুলতানা, প্রচার সম্পাদক পদে আসাদুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ