আজকের শিরোনাম :

জবিতে ভর্তিচ্ছুদের ফুল দিতে এসে ছাত্রলীগের পিটুনি খেল ছাত্রদল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪১

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে রোববার সরকারি বেসরকারি অফিস চালু থাকায় পুরান ঢাকায় বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরীক্ষার প্রথম দিনে ১২ টার সময়ে শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯টার দিকেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকে। ১০ টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ফটক খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তীব্র যানজটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্নয় ঘটে। এর ফলে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছায়। তবে দেরীতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালেও পরীক্ষা দিতে কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মোস্তফা কামাল বলেন, পুরান ঢাকা একটি ব্যস্ততম স্থান। এখানে যানজট হওয়াটা স্বাভাবিক। কিছু শিক্ষার্থী যানজটে আটকা পড়ে দেরীতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালে তাদেরও পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এবার প্রথম গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনেকটা কষ্ট, দূর্দশা লাঘব হয়েছে। তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসলে শতভাগ দূর্দশা লাঘব হবে।

কেন্দ্র বণ্টনে অভিযোগের বিষয়ে ভিসি বলেন, শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন পাঁচটি কেন্দ্র চয়েজ দিতে বলা হয়েছিল। এর মানে এই না যে তারা আরো ২০ টি দিবেনা। মেরিটের কারণে সবাইকে তো আর সেসব কেন্দ্রে দেওয়া সম্ভব না। মেরিট কম হওয়ায় তাদের অন্য কেন্দ্রে দিতে হয়েছে। কম্পিউটার অটোমেটিকলি তাদের কেন্দ্র সিলেক্ট করেছে। যেহেতু প্রথমবার আমরা এভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি সেহেতু কিছু সমস্যা থাকবেই। আমরা শিখছি, শিক্ষার্থীরাও এবার শিখছে। পরবর্তীতে এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে আশা রাখছি।

এতগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পরীক্ষা তারপরেও ছুটির দিনে পরীক্ষা না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা বারবার পরীক্ষা পিছিয়েছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গুচ্ছ, মেডিকেল পিছাতে পিছাতে এমন একটা পর্যায়ে আসছে যে পরীক্ষার সময় পাচ্ছিলাম না। এখন এই সময়টায় পরীক্ষা না নিলে দেখা যেত নভেম্বরে পরীক্ষা নিতে হতো। তো দেরী তো আর করা যায় না। যেহেতু শুক্রবার আগে থেকেই অধিকৃত তাই বাধ্য হয়েই রবিবাররে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
এদিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ফুল ও কলম দিয়ে স্বাগত জানানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে শাখা ছাত্রদলের দুই নেতা গুরুতর আহত হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে বিজ্ঞান বিভাগের (এ ইউনিট) পরীক্ষা শুরু পূর্বে স্ব স্ব আধিপত্য ধরে রাখাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের অনেকেই ভয় পেয়ে গেইট ত্যাগ করেন।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার আহব্বায়ক পদপ্রার্থী মেহেদী হাসান হিমেল ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা পরীক্ষাদের সহযোগিতা করার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয় ছাত্রদলের আহব্বায়ক প্রার্থী মেহেদী হাসান হিমেল এবং শাখা ছাত্রদলের ছাত্রনেতা শাহরিয়ার হোসেন। শিক্ষার্থীদের বরণ করার সময় উপস্থিত ছিলো শাখা ছাত্রদলের হিমেল, তাজ , রাতুল আজিজসহ বেশ কিছু নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
হামলার বিষয়ে ছাত্রদলের আহব্বায়ক প্রার্থী তাজ বলেন, আমরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ফুল ও কলম বিতরণ করছিলাম। এসময় ছাত্রলীগ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। আমার দুই সহকর্মী হিমেল ও শাহারিয়ার গুরুত্বর আহত হয়। পরে আমরা ন্যাশনাল মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।

ছাত্রলীগের জামাল উদ্দীন বলেন, ছাত্রদলের কিছু নেতা কর্মী পরীক্ষা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছিল, আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।
 

 এবিএন/মোস্তাকিম ফারুকী/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ