আজকের শিরোনাম :

কোটা আন্দোলনের নেতাদের হত্যার হুমকি: ফের উত্তাল ঢাবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০১৮, ১৮:৩৯ | আপডেট : ১৬ মে ২০১৮, ১৮:৪১

ঢাকা, ১৬ মে, এবিনিউজ : কোটা আন্দোলনের দুই নেতাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে দাবি করে ছাত্রলীগ নেতাদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। একই সঙ্গে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ না করায় সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

 

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় আন্দোলনকারীরা জিডি করতে গেলে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাবির মুহসীন হলে নুরুল হক নূরের কক্ষে পিস্তল নিয়ে ‘গুলি করে হত্যার হুমকি দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি, মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী, চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান লিমন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিসহ ২০-২৫ জন। তবে ‘হত্যার হুমকি’র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইমতিয়াজ বাপ্পি। তিনি বলেন, ‘ফাহিমের ফেসবুক আইডিতে রিপোর্ট করার বিষয়ে জানতে গিয়েছিলাম।’

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

নুরুল হক নূর বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির (কোটা সংস্কার) যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আমার রুমে ছিল। এর মধ্যে চারুকলা অনুষদের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি লিমন ফোন দিয়ে থ্রেট দেয় যে, হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে। পিটিয়ে নামিয়ে দেওয়া হবে। আমরা নাকি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি।

 

তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি কল নিয়ে বলেন, ছাত্রদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মারছি। তোদের মতো পোলাপানকে খেয়ে দিতে দুই সেকেন্ডও লাগে না। তোগোরে গুলি কইরা মারি নাই শুধু কিছু সিনিয়রের নিষেধ ছিল। তবে তোরা বাঁচবি না। কিছুদিন পর প্রজ্ঞাপনটা জারি হোক। দেখি তোদের কোন বাপ ঠেকায়।’


তিনি আরও বলেন, ‘তার ১০ মিনিট পরে কক্ষে পিস্তল নিয়ে এসে বলে, তোরা মা-বাবার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে নে। তোরা বাঁচবি না। তোদের গুলি করে মারব। আমাকে (নুরুল হক নুর) মারতেও আসে। তারা আমার মোবাইলও নিয়ে যায়। যাতে আমি রেকর্ড করতে না পারি। আমরা এখন জীবননাশের হুমকির মুখে আছি।’

 

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ