আজকের শিরোনাম :

ছাত্রলীগে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: রাসেল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৮, ২১:৩৭ | আপডেট : ১৫ মে ২০১৮, ২১:৫২

জবি, ১৫ মে, এবিনিউজ : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়ে গেল গত ১১ ই মে, কিন্তু এখন পর্যন্ত  কোন কমিটি ঘোষণা হয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে এবার ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দিবেন।

কমিটিতে দক্ষ, সুনেতৃত্বশী ও যোগ্য প্রার্থি বাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া ৩২৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ১২৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২০০ জন ফরম তুলেছেন।

এই অধিক সংখ্যক প্রার্থী থেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা খুব একটা সহজ কাজ না। যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, তিনিই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।

বিগত কমিটি গুলোতে আমরা দেখতে পাই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ই গুরুত্বপূর্ণ দুইটা পদ নির্বাচিত করা হয়। এবারের কমিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কে ঘিরে আপনাদের প্রত্যাশা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী আসন্ন কাউন্সিলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ৬ দফা, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুথান সহ সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল ইতিহাস।”বঙ্গবন্ধু” তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী তে এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর গৌরবগাঁথা, সোনালি অতীত এর কথা তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর দুঃসময়েই এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগই অতীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিগত ৫জানুয়ারির নির্বাচন, ৫মে তে হেফাজতের তান্ডবের সময়েও আন্দোলন সংগ্রামের আতুরঘর নামে বহুল পরিচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। যেখানে অন্যান্য ইউনিট গুলো চোখে পড়ার মতো সক্রিয় ছিলো না।

কিন্তু দুঃসময়ে বারবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন অজুহাতের মারপ্যাঁচে অবহেলিত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। দুর্দিনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছেন নজরুল ইসলাম বাবু ভাই,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যিনিই একমাত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।এরপর থেকে শুধুই অবহেলিত আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

নেতৃত্বদানের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেককে যথাযথ মূল্যায়ন করা না হলেও বিভিন্ন জায়গায় উনারাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কে মেলে ধরেছেন বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে আস্থার প্রতিদান দিয়ে। যাদের মাঝে আমাদের অর্জন সরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল ভাই,স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম ভাই,নজিবুল্লাহ হিরু ভাই,শাহে আলম মুরাদ ভাই,রাজু ভাই প্রমুখ ব্যক্তিবর্গসহ আরও অনেকেই।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একমেরু কেন্দ্রিক হয়ে পড়ার কারণে সারা বাংলাদেশের অন্যান্য ইউনিটগুলো নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। এনামুল হক শামীম ভাই,লিয়াকত শিকদার ভাই,নজরুল ইসলাম বাবু ভাই বাহিরের ইউনিটের হওয়া সত্ত্বেও নেতৃত্বদানে ছিলেন নির্ভিক,আপোষহীন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে চাঙ্গা রাখার জন্য, সক্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য,এর কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাহিরের ইউনিটগুলোর প্রতি সুনজর বৃদ্ধি করা উচিত বলে মনে করি।

একমেরু কেন্দ্রিক রাজনীতির ফলাফল বিগত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও দেখা গেছে।যেখানে কেন্দ্র থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল ইউনিট শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ সেখানে একমাত্র সফল ইউনিট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

অতীতের মতো এবারো পরীক্ষায় শতভাগ সফল হয়েছে আমার প্রাণের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। পুরান ঢাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে রাস্তা ফাঁকা করে দিয়েছে দুর্দিনের এই ইউনিট টি।

কমিটি প্রসঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কর্মীদের মতামত জানতে গেলে, তারা বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অবহেলিত কর্মীদের প্রাণের দাবি, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস,রাজপথে ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন নেতা নির্বাচন করা হোক।

এবিএন/মোস্তাকিম ফারুকী/জসিম/নির্মল

এই বিভাগের আরো সংবাদ