আজকের শিরোনাম :

চবিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৫৫

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলমান পরীক্ষাসহ তিন মাসের সব পরীক্ষা স্থগিত করায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করেন।

ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে দর্শন বিভাগের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কানন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা শুরু হয়। ফলে আমরা বাসা থেকে ক্যাম্পাসে এসেছি। হল বন্ধ থাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছি। এখন বলা হচ্ছে পরীক্ষা হবে না। কর্তৃপক্ষের এ কেমন সিদ্ধান্ত?’

তিনি বলেন, আমাদের দাবি দুটি। প্রথমত চলমান পরীক্ষা অব্যাহত রাখা এবং রুটিন দেওয়া পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেওয়া।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এজাজ আহামেদ নিশান বলেন, ২০১৯ সালের পরীক্ষা ২০২১ সালে হচ্ছে। কেবল দুটি পরীক্ষা হওয়ার পরই এখন আবার স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী ও অমানবিক। যদি পরীক্ষা স্থগিত হয় শিক্ষার্থীদের মনোবল আরও ভেঙে পড়বে বলেও জানান তিনি।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। তিনি শিক্ষার্থীদের সব দাবি প্রক্টর অফিসে এসে জানানোর আহ্বান করেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু হলেও আবাসন সঙ্কটে থাকা শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

গত রবিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলের তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থান নিলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও তার আঁচ লাগে। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও অমর একুশে হলের প্রধান ফটকের শিকল খুলে ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এর পর তারা ১ মার্চের মধ্যে হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।

এই পরিস্থিতিতে সোমবারই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এর আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে। ২৪ মে পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ধরনের পরীক্ষা নিতে পারবে না। ২৪ মের পরে পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। আর অনলাইনে যেভাবে ক্লাস চলছে, ওই সময় পর্যন্ত সেভাবেই চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো আগামী ১৭ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে।

মন্ত্রীর এই ঘোষণার দুই দিন পর বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির বৈঠকে চলমান পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সব বিভাগে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ পাঠানো হয়।

শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকার ৭ সরকারি কলেজের পরীক্ষাও স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে দুই দিন শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে বুধবার সিদ্ধান্ত পাল্টে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ