আজকের শিরোনাম :

সলো ক্রসকান্ট্রি ওয়েফারিং মিশনে রেকর্ড গড়লেন জবির মাসফিকুল

  জবি প্রতিনিধি

০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

এখনই সময় অজানাকে জানার, ঘুরে দেখার পুরো পৃথিবী। কেউ বিখ্যাত হয় পাহাড় ডিঙিয়ে কেউ আবার আকাশ ফুঁড়ে। তেমনই এক বিস্ময় মাসফিকুল হাসান টনি। প্রথমবারের মত সলো ক্রসকান্ট্রি ওয়েফারিং মিশনে নেমে রেকর্ড গড়লেন তিনি। ২০দিনে পরিভ্রমণ করলেন বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ। গত ৫ নভেম্বর সকাল ৮টায় প্রথম সলো ক্রস কান্ট্রি ওয়েফারিং মিশনে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মাসফিকুল। ২০ দিনে মোট ১৬টি জেলা পরিভ্রমণ করে ২৪ নভেম্বর বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে পদযাত্রা শেষ করেন। পদযাত্রা অভিযানটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো, সংশোধনী আইনে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির বাস্তবায়ন এবং সেক্সুয়াল এডুকেশন।

২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া ক্রসকান্টি হাইকিংয়ে এই পর্যন্ত এগারো জন হাইকার পুরো দেশ পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করেছেন। মাসফিকুল হাসান টনি ১২তম ব্যক্তি হিসেবে এই হাইকিংয়ে অংশ নেন। ২০১৫ সালে হাইকার সাহাদাত হোসেন সর্বনিম্ন ২১ দিনে ক্রসকান্ট্রি হাইকিংয়ের রেকর্ড করেন। তার পাঁচ বছর পর মাসফিকুল নতুন রেকর্ডে ভাগ বসান।

নাটোর জেলার বনপাড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা মাসফিকুল। পড়াশোনা করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে। ২০১৪ সালে নাটোরের সেন্ট যোসেফস্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৬ সালে রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি।

অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যমূলক ভ্রমণকেই হাইকিং বা পরিভ্রমণ বলা হয়। হাইকিং সাধারণত করা হয় পাহাড়ি পথে পায়ে হেঁটে। এটা ট্রেকিং এর থেকে কিছুটা ভিন্ন। এই ভ্রমণে প্রকৃতির সাথে, পথের সাথে সৃষ্টি হয় এক নিবিড় সম্পর্ক। একটা সময় যানবাহন ছিল না, তখন মানুষ পায়ে হেঁটে দূর-দূরান্তে পাড়ি দিত। বর্তমানে সেটা খুব কমই দেখা পাওয়া যায়। তাছাড়া আমাদের দেশে পরিভ্রমনকারী বা হাইকারের সংখ্যা এখনো বেশ কম। আমাদের দেশে হাইকিং উপযোগী পথেরও স্বল্পতা রয়েছে বলে জানান মাসফিকুল।

‘পাহাড়, পর্বত এবং এডভেঞ্চার জীবন আমার শৈশব থেকেই ভালো লাগতো। তার সাথে পায়ে হেঁটে নিজ এলাকায় নিয়মিত ঘোরাঘুরির অভ্যাসটাও শৈশব থেকেই। স্কুল-কলেজে যাতায়াত সহ প্রতিদিন সাধারণ ভাবেই হাঁটাহাঁটি করা হতো। মাউন্টেনিয়ারিংয়ের স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। সেটা নিয়ে বিভিন্ন স্টাডি করতে গিয়েই হাইকিং সম্পর্কে ভালো মতো জানা। হাইকিংয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরি সম্পর্কেও জেনেছি। তবে লক্ষ্য করে দেখলাম ইউরোপের দেশগুলো এমনকি ভারতেও সাধারণ পথে এবং পর্বতে হাইকিং /পরিভ্রমণ অনেক জনপ্রিয়। শুরুটা করলাম নিজ জেলা থেকে। সব মিলিয়ে ভালো লাগাটা আরও বেড়ে গেলো।’- এভাবেই নিজের অভিব্যাক্তি জানাচ্ছিলেন মাসফিকুল টনি।

হাইকিং সম্পর্কে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? এমন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, হাইকিংয়ের বিস্তার ঘটানোর জন্য হাইকিং কেন্দ্রিক একটি ক্লাব তৈরি করছি। হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশ নামে। যার মূল স্লোগান ‘পদব্রজে ভ্রমণ, দর্শনে জ্ঞানার্জন। ইচ্ছা আছে পৃথিবীর দূর্গম পাহাড় ও মরুপথে হাইকিং করবো। বিশ্ব সেরা হাইকার হবো।’

এবিএন/আহনাফ ফায়াজ/জসিম/জনি

এই বিভাগের আরো সংবাদ