আজকের শিরোনাম :

আবারও বন্যা কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট-শেরপুরে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৮ | আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৪৬

ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও লালমনিরহাটে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। নিচু এলাকা ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, তীব্র হয়ে উঠছে নদী ভাঙ্গন। গত ৩ দিনের ভারী বর্ষন ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে ধরলার তীরবর্তী এলাকার ঘর বাড়ীতে। নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে দুই হাজার একশ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল। 

ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা দুধকুমোরসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।


অন্যদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের অন্তত ২৫টি পয়েন্টে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। জিও ব্যাগ ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছেন প্রায় এক হাজার পরিবার। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন চার ধরে লালমনিরহাটের দোয়ানী ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ থেকে ২০ সে.মি নীচ প্রাবাহিত হয়। যদিও আজ সকালে ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২.২৫ অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩৫ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচার চৌরাহা বালাপাড়া গ্রামের এক কিলোমিটার অংশ। গ্রামের শতাধিক পরিবারের বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ভাঙ্গন কবলিতরা রাস্তায় ঠাঁই নিয়েছেন।

কতৃপক্ষ এলাকাবাসীর সহায়তায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালালেও অতি বর্ষণ ও পানি বৃদ্ধির কারণে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করলেও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছেনি। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তালিকা প্রস্তুত চলছে, দ্রুত ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেওয়া হবে।

তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতীতে মহারশী নদীর রামেরকুড়া পয়েন্টের তীরবর্তী বাঁধ ভেঙে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পানি প্রবেশ শুরু করে।

এতে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে পানি প্রবেশ করে। একই সাথে উপজেলা সদর বাজারে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে গতরাতে প্রবল ঢলে নালিতাবাড়ী শহর রক্ষা বাধের প্রায় ১০মিটার ভেঙে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে। নালিতাবাড়ীতে চেল্লাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। তলিয়ে গেছে সবজীর আবাদ ও আমন ধানের ক্ষেত। পানি নেমে না গেলে ভয়াবহ সংকটের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ