আজকের শিরোনাম :

'সরকারি অফিসে ২৫ ভাগ উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা আর নেই'

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২০, ১৭:৫৩

সরকারি অফিসে ২৫ ভাগ জনবল দিয়ে কাজের বাধ্যবাধকতা আর নেই। এখন থেকে উপস্থিতির সংখ্যা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান।

সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এসময় তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার ঊর্ধ্বমুখী নয়। এ অবস্থায় করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের জীবন-জীবিকাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিধিনিষেধ ও বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কর্মকাণ্ড ও চলাচল নিয়ন্ত্রণের মেয়াদ ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে মাস্ক পরাসহ পারস্পারিক দূরত্ব বজায় না রাখলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকলেও রাত ৮টার মধ্যেই তা বন্ধ করতে হবে। গণপরিবহণেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়। এছাড়া, বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার। একই সঙ্গে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত বন্ধ থাকবে। তবে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রার্থনা চলবে ধর্মীয় উপাসনালয়ে।

প্রজ্ঞাপনে আরোপিত বিধি-নিষেধ গুলো হলো:

১. আগামী ৪ থেকে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত এ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি এ নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

২. রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসস্থানের বাইরে বের হওয়া যাবে না। অতি প্রয়োজন বলতে, ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন/সৎকারকে বোঝানো হয়েছে।

৩. বাসস্থানের বাইরে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. হাটবাজার, দোকানপাট, শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। শপিংমলের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজার রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনকে অবশ্যই জীবনুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিংমল অবশ্যই রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পণ্য ও খাদ্য ক্রয়ে জনগণকে ই-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।

৫. সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

৬. গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।

৭. এ সময়ে সব সভা-সমাবেশ, জমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ভার্চুয়্যাল উপস্থিতি অনুষ্ঠান আয়োজনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে মসজিদে জামায়াত ও অন্যান্য উপাসনালয়সমূহে প্রার্থনা পরিচালনা করা হবে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ