বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে সংসদীয় কমিটি

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চেয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ওই দুর্ঘটনার পর যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট সংসদীয় কমিটি পর্যালোচনা করতে চায়। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

গত ২৯ জুন ঢাকার সদরঘাটের কাছে শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ’এমভি ময়ূর-২’ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে আসা ’এমএল মর্নিং বার্ড’ নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে যায়। এই ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে এই ঘটনার তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে নৌপথে যাত্রী হয়রানি এবং অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ই-টিকেটিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এ সময় বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উন্নয়ন কার্যক্রম, ড্রেজিং পরিস্থিতি এবং বর্তমানে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপগুলো উপস্থাপন করা হয়।

বৈঠকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে বর্তমানে অধিদপ্তরগুলোতে জনবলের ঘাটতি কত, কীভাবে তা পূরণ করা যায়, সে বিষয়ে আগামী বৈঠকে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খান, মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদা অংশ নেন।

এবিএন/মমিন/জসিম