আজকের শিরোনাম :

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যুদ্ধে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২১, ১৫:০১ | আপডেট : ২২ মার্চ ২০২১, ১৫:১৬

নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণই আমাদের যুদ্ধে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছিল। এই একটি ভাষণ আমার ব্যক্তিগত জীবনকেও প্রভাবিত করেছে।

আজ সোমবার (২২ মার্চ) উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে রাজনীতির মহাকবি চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজনীতির মহাকবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সাত দিনব্যাপী এ চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম একটি ভাষণ। এই ভাষণ ২১ বছর আমাদের শুনতে দেওয়া হয়নি। এটি এমনটি বক্তৃতা যার কারণে আমি যুদ্ধে গেছি। আমার বাবাও যুদ্ধে গেছেন এই ভাষণ শুনে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন সুন্দর সকালটা দেখি, তার পেছনে কারণটা কিন্তু সূর্যোদয়। এই সূর্যোদয়ের কারণেই সকালটা হয়। সূর্য না উঠলে সকাল হয় না। আমাদের স্বাধীনতার জীবনে বঙ্গবন্ধু তেমনই সূর্য। সেই সূর্যের আলোতেই আমরা স্বাধীন পথ চলি, সেই সূর্যই আমাদের স্বাধীন পথ দেখান। জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময় তিনি জেলে কাটিয়েছেন মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য। বঙ্গবন্ধু বলেছেন- আমি মৃত্যুকে গ্রহণ করে নিব কিন্তু বাঙালির স্বার্থের সঙ্গে কখনই বেইমানি করব না।

টিপু মুনশি আরও বলেন, আজকের প্রজন্মকে এই কথাটা মনে রাখতে হবে যে, বঙ্গবন্ধু চলে গেছেন কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী। নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মকে শেখাতে হবে, কত ত্যাগ, কত রক্ত, কত বঞ্চনার ইতিহাস আমাদের ছিল। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন।

রাজনীতির মহাকবি প্রদর্শনীর আয়োজনের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মেয়র একজন পরিশ্রমী মানুষ। আমাদের সৌভাগ্য আমরা এমন একটি মেয়র পেয়েছি। এই মেয়রের পরিবারের কাছে আমরা ঋণী। মেয়রের বড় ভাই প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বহুজন এসেছেন, গেছেন- কেউ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেনি। কিন্তু উনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারটা করে গেছেন। আমরা কখন এই পরিবারের ঋণ শোধ করতে পারব না। সেই পরিবারের সন্তান আজ আমাদের প্রিয় মেয়র।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ